‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার আগেই দমকা হাওয়ার দাপটে কয়েক সেকেণ্ডের তান্ডবে তছনছ হয়ে গেল হুগলির ব্যান্ডেল এবং হালিশহরে বিস্তীর্ন এলাকা। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ইয়াস’। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই হঠাৎ হুগলির ব্যান্ডেলে চলে হাওয়ার দাপট। সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি। এরপর ব্যান্ডেল থেকে গঙ্গা পেরিয়ে ঝড় আছড়ে পড়ল হালিশহরে। হালিশহরের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই ঝড়। পৌনে চারটে নাগাদ হালিশহরের ঝিলপাড়া এলাকা কয়েক সেকেন্ডের এই ঝড়ে ক্ষতি হয় অন্তত অন্তত ৫০টি বাড়ি।
এই ঝড়ের পর এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “এটা ভীষণ দুঃখজনক ঘটনা। হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ফলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইয়াসের আগেই ছোট ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যাতে কারোর ক্ষয়ক্ষতি বেশি না হয়। প্রাণহানি আটকানো যায়। বাড়িতে থাকবেন। কেউ বেরোবেন না। আমরা রাতে মনিটরিংয়ের জন্য এখানেই থাকছি।”
আরও পড়ুন-ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশংসা করেও ‘হিংসা’ প্রসঙ্গ টানলেন ধনকড়
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি সেখানে হয়। এমনিতেই ইয়াসের দাপটে সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায়। বৃষ্টি চলছে হুগলিতেও। বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ হঠাৎ করেই কয়েক সেকেন্ডের ঝোড়ো হাওয়ায় ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন এলাকা, পোলবার সুগন্ধ্যা ও রাজহাটের বিস্তীর্ণ এলাকার তছনছ হয়ে যায়। বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে।