প্রকৃতির তাণ্ডবকে স্মরণীয় করতে ওড়িশার নবজাতকদের নাম “যশ”, “ইয়াস”, “জেসমিন” রাখার ধুম

ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ইয়াসের (YAAS) তাণ্ডবলীলা শেষ হয়েছে। তবুও তার প্রভাব রয়েছে ওড়িশার (Odisha)বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। প্রকৃতির তাণ্ডবলীলার মধ্যেই জন্ম হয়েছে ফুটফুটে শিশুদের (New Born Baby)। ভয়ঙ্কর ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই ওরা পৃথিবীর আলো দেখেছে কয়েকশো শিশু। তাই প্রকৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে নবজাতকদের নাম “ইয়াস” বা “যশ” রাখার ধুম পড়ে গিয়েছে ওড়িশার বিভিন্ন জেলায়।

রাজ্য সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত থেকে দুর্যোগের মধ্যে ওড়িশায় ৩০০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অন্তত ১১টি শিশুর নামকরণ করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের নামে।

ইয়াস পার্সি শব্দ। যার আক্ষরিক অর্থ জেসমিন বা জুঁই। তাই, শিশুপুত্রের ক্ষেত্রে নাম রাখা হচ্ছে ইয়াস। শিশুকন্যার ক্ষেত্রে যশ বা জেসমিন। দুর্যোগের মধ্যেই মা হয়েছেন বালাসোরের পারাখি এলাকার বাসিন্দা সোনালি মাইতি। পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সোনালি বলেন, “ইয়াস ছাড়া আর অন্য কোনও নাম মাথাতেই আসেনি।” একইভাবে কেন্দ্রা পাড়া জেলার বাসিন্দা সরস্বতী বৈরাগী বলেন, “প্রকৃতির ওই রুদ্রমূর্তির মধ্যেই কন্যা সন্তানকে নিরাপদে পৃথিবীর আলো দেখাতে পেরে খুবই খুশি। আমি আমার নবজাতকের নাম রেখেছি যশ বৈরাগী।”

আরও পড়ুন- করোনাকে হারিয়ে তেত্রিশদিন পর বাড়ি ফিরলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ


Advt

Previous articleকরোনাকে হারিয়ে তেত্রিশদিন পর বাড়ি ফিরলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
Next article২৯ ঘণ্টা পরও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি গেঞ্জি কারখানার আগুন