ক্ষমাপ্রার্থী: তৃণমূলের ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি দীপেন্দুর

বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, তেমন বেকায়দা বুঝে আবার দলে ফিরতে চাইছেন একের পর এক “দম বন্ধ হয়ে যাওয়া” নেতা-নেত্রী। সোনালী, সরলা, অমলদের তালিকায় এবার নাম জুড়েছে দীপেন্দু বিশ্বাসের (Dipendu Biswas)। প্রাক্তন ফুটবলারকে তৃণমূল (Tmc ) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার প্রার্থী করে বিধায়ক করেছিলেন। প্রথমবার বিজেপির (Bjp) শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) কাছে হারলেও ২০১৬ বসিরহাট (Basirhat) দক্ষিণ কেন্দ্রেই শমীককে হারিয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন স্ট্রাইকার দীপেন্দু। কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে, পদ্ম ছাপ নিয়ে দাঁড়ালে ফুল ফোটাতে পারেননি দীপেন্দু।

সূত্রের খবর, পরাজিত দলবদলুদের ভোটের পরে আর তেমন পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি। নারদকাণ্ডে তৃণমূলের 3 নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি হয়েছে’ এই অভিযোগ করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন দীপেন্দু । এবার ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসতে চাইছেন বলে হাতে লেখা একটি চিঠি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে পাঠিয়েছেন স্ট্রাইকার। তাতে তিনি লিখেছেন, ভোটের আগে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে মমতার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চান।

তৃণমূল সূত্রের খবর, কালীঘাটে গিয়ে সোনালী গুহ তৃণমূলে ফেরার রাস্তা মসৃণ করার চেষ্টা করছেন। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, “ভুল বুঝতে পারা” নেতা-নেত্রীর সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে।

Advt

Previous articleBreaking: আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙখলাভঙ্গের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র
Next articleদ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর হার, গঠন করা হয়েছে কমিটি