নিজের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে ওসি সৌভিক

কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিলজলা (Tiljala) ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakraborty)। তবে, এবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

তাঁর থানা এলাকার মধ্যেই রয়েছে সায়েন্স সিটি (Science City) অঞ্চল। বিধি-নিষেধে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় টহলদারির সময় বেশ কয়েকদিন ধরেই সৌভিক লক্ষ্য করছিলেন কয়েকজন মানুষ উদ্দেশ্যহীনভাবে ইতিউতি ঘুরছে। ডেকে জিজ্ঞাসা করায়, তাঁরা জানান কাছেই বস্তিতে তাঁদের বাস। কেউ দিনমজুর, কেউ বা ভ্যান চালান, কেউ পরিযায়ী শ্রমিক, কেউ কোথাও সহকারী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু বিধি-নিষেধের জেরে কাজ বন্ধ সব। প্রথমবার লকডাউনের (Lockdown)সময় কোনও মতে সংসার চালিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িতে বিনামূল্যের রেশন আছে ঠিকই, কিন্তু বাকি আর কিছু কেনার সামর্থ্য নেই। হতদরিদ্র এই মানুষগুলির অসহায়তা ছুঁয়ে গিয়েছিল সৌভিক চক্রবর্তীকে। তিনি ঠিক করেন এঁদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেবেন।

প্রধানত তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের এই ওসিই মূল উদ্যোক্তা। তবে তাঁর এই ইচ্ছের কথা জানতে পেরে কয়েকজন বন্ধু জুটে যান। সবাই মিলে মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকার ১০০ জন মানুষের হাতে শুকনো খাবার যেমন- মুড়ি, চিড়ে, ছাতু, বিস্কুট, তার সঙ্গে সাবান তুলে দেন।

গতবার লকডাউনের সময় মানুষের পাশে থেকেছে কলকাতা পুলিশ। ডিউটি করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌভিক নিজেও। সেরে উঠে আবার ডিউটিতে। খুব কাছ থেকে সাধারণ মানুষকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনে হয়েছে গতবছর লকডাউনে মানুষের যতটা না আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল, এবার হয়েছে তার থেকে আরও বেশি। সেই কারণে কোনও সরকারি সাহায্য বা সংগঠনের মুখাপেক্ষী না হয়ে একক উদ্যোগেই ১০০ জন পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাঁকে দেখে আরও অনেকেই এভাবে এগিয়ে আসবেন বলে এই আশা সৌভিকের।

আরও পড়ুন- স্বস্তি! ৪২ দিন পর দশ হাজারের নিচে নামল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ

Pp

 

Advt

 

 

Previous articleস্বস্তি! ৪২ দিন পর দশ হাজারের নিচে নামল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ
Next articleবড় সঙ্ঘাতের ইঙ্গিত? আপাতত টিভিতে কোনও বক্তা পাঠাবে না বিজেপি