করোনা কালেও ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বাংলা দেশের সেরা

করোনা অতিমারি (corona pandemic) সংকট এবং লকডাউনের (lockdown) মধ্যেও বিগত আর্থিক বছরে ক্ষুদ্র সঞ্চয় (small saving scheme)প্রকল্পে বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম ইনস্টিটিউট (National savings scheme institute) থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে । ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিগত আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে ডাকঘরে (savings in post office) সঞ্চিত আমানতের পরিমাণ ১ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ওই আমানত থেকে আয়ের পরিমাণ ১৯ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে জমা পড়েছে ৯৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার বেশি।

কী কারণে বাংলার এই সাফল্য? কারণ হিসেবে অর্থ দফতর এবং ডাকঘর এজেন্টদের সংগঠন, মানুষের সচেতনতা এবং আর্থিক নিরাপত্তা সম্পর্কে সরকার ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাগাতার প্রচার কর্মসূচির ভূমিকার কথা উল্লেখযোগ্য। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা লগ্নি করে সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষ আর নতুন করে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। সেই কারণেই ডাকঘরে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়ছে ।

তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন ডাকঘরের এজেন্টরা । ওয়েস্টবেঙ্গল স্মল সেভিং অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, ‘বহু বার দাবি করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ডাকঘর এজেন্টদের অসংগঠিত শ্রমিকের মর্যাদা দেয়নি । এমন কী তাঁদের কোনও সরকারি পরিচয়পত্রও দেওয়া হচ্ছে না ৷ তার ফলে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷

Previous article‘সাবালক’ শুভেন্দুকে পাল্টা দিলেন ‘নাবালক’ অভিষেক
Next article‘CBI সব বিষয় এড়িয়ে শুধু মানুষের ভিড় নিয়েই চিন্তিত’, কটাক্ষের সুরে সওয়াল সিংভির