দাবিদার নেই, কোভিডে মৃত সহস্রাধিক চিতাভস্ম কাবেরী নদীতে ভাসাল সরকার

মৃত্যু হয়েছে কোভিডে (covid)। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট শ্মশানে সৎকার। তারপর বহু ক্ষেত্রে প্রথাগত আচার মেনে চিতাভস্ম নেওয়ারই লোক নেই। সারি সারি চিতাভস্ম মাটির পাত্রে মুখবন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে শ্মশানঘাটে। অনাদরে, দাবিদারহীন। মাটির পাত্রগুলির গায়ে লেখা বিশেষ নম্বর। করোনা অতিমারি পর্বে বাস্তবের এই করুণ ছবি দেখা গিয়েছে কর্নাটকের একাধিক শ্মশানে। সংক্রমণের ভয়, লোকবলের অভাব, আচার মেনে ক্রিয়াকর্ম করার অক্ষমতা তো আছেই, অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের একাধিক সদস্যই করোনায় মৃত। ফলে সৎকারের পর চিতাভস্ম নিয়ে ভাসিয়ে দেওয়ারও কেউ নেই।

আরও পড়ুন-ভারতকে ভ্যাকসিন দেবে আমেরিকা, মোদিকে ফোনে আশ্বস্ত করলেন হ্যারিস

বেঙ্গালুরু শহরের সুমনাহল্লি শ্মশানে নাম-পরিচয়হীন কোভিডে মৃতদের দাহকাজের পর সেই ছাই সংগ্রহ করে সাদা কাপড়ে বেঁধে পর পর সারি বেঁধে বসানো রয়েছে শ’য়ে শ’য়ে মাটির পাত্রে। মাটির পাত্রগুলির গায়ে নম্বর সমেত সাঁটানো রয়েছে স্টিকার। কোনও দাবিদার না থাকায় শয়ে শয়ে চিতাভস্মের পাত্র জমছিল শ্মশানে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার সেই সব ছাই ভর্তি মাটির পাত্র নিয়ে আসা হয় কাবেরী নদীর ঘাটে। রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার এরকম মোট ১,২০০ ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তির দেহাবশেষ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। প্রথা মেনে সম্মান জানানো হয় মৃতদের। এই বিষয়ে বেঙ্গালুরু টিআর মিলস শ্মশানরে কনট্র্যাক্টর কিরণ কুমার বলে, একটা পরিবারে দুই-তিন জন কোভিডে মারা গেলে বাকি সদস্যরা আর শ্মশানে এসে ছাই সংগ্রহ করেন না। এই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর ছাই ভর্তি মাটির পাত্র জমেছে শহরের প্রায় সবকটি শ্মশানে। বাধ্য হয়ে এখন সরকারকেই ওই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কাজ করতে হচ্ছে। আর এই দৃশ্যই তুলে ধরেছে অতিমারির নিষ্ঠুর বাস্তব।

Advt

Previous article‘নিজেদের কর্মীদের ভ্যাকসিন দিন, আর্থিক অনুদান দিতে হবে না,’ বণিকসভার বৈঠকে বললেন মমতা
Next articleআব্বাসের সঙ্গে জোট করেই নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস, AICC-কে রিপোর্ট চৌহান-কমিটির