৩৩ বিধায়ক যোগ দিলেও জয়ী ৫, বেসুরো একাধিক, আদৌ কজন থাকবে? চিন্তায় বিজেপি

বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় দলবদলের হিড়িক শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন দল থেকে বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বহু নেতা-নেত্রী। শুধু তৃণমূল থেকেই বিজেপিতে যোগ দেন ৩৩ জন বিধায়ক। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর সব ছবি উল্টে পাল্টে গিয়েছে। বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার বাংলার মসনদে বসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রীতিমত আফসোস করছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলবদলু নেতা-নেত্রীরা। অনেকে আবার সরাসরি ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দিদিকে লিখেছেন খোলা চিঠি। দলে ফিরতে চেয়ে তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দলবদলুরা। এই অবস্থায় আদেও কতজন দলে টিকে থাকবেন তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় রয়েছে গেরুয়া শিবির।

হিসাব করলে দেখা যাবে ২০১৬ সালে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পেয়ে তৃণমূল সহ একাধিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদেন ৩৩ জন বিধায়ক। অন্য দল থেকে বিজেপি-তে এসে প্রার্থী হয়েছিলেন ১৮ জন। জয় পেয়েছেন মাত্র ৫ জন। শুভেন্দু অধিকারী, বিশ্বজিত্‍ দাস, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়। বাকি ১৩ জন পরাজিত। এদিকে ভোটের ফল ঘোষণার পর ৫ প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা, অমল আচার্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। যারা এখনও ছাড়েনি তাদের অনেকেরই যোগাযোগ নেই বিজেপির সঙ্গে। অবস্থা সে গুরুতর তা বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই অংক করতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির কারা কারা বিজেপিতে থাকবেন এবং কারা থাকবেন না সে নিয়ে চলছে কাটাছেড়া।

আরও পড়ুন:প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ঘোষণা মোদির

তবে গেরুয়া শিবির বেশ বুঝতে পারছি হুজুগে দলে ভেড়া এই সমস্ত দলবদলুদের বেশিরভাগটাই আর বেশিদিন গেরুয়া অতিথি হিসেবে থাকবেন না। এখন দলে থেকে দলকে ছুরি মারতে পারে এমন নেতাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে বিজেপি অন্দরে। পাশাপাশি উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতাদের বড় বড় পদ দেওয়ার ফলে দলীয় কোন্দলেও জর্জরিত গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে দলকে শক্ত পায়ে দাড় করানো যায় তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advt

Previous articleমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, তৃণমূলে সেকেন্ডম্যান নেই: অভিষেক 
Next articleইয়াসের ক্ষতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ কর্মসূচির পাশাপাশি আদিগঙ্গা সংস্কারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর