মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, তৃণমূলে সেকেন্ডম্যান নেই: অভিষেক 

তৃণমূলের নেতা শীর্ষ বৈঠকে শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে সোমবার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, এবার কি পাকাপাকি ভাবে অভিষেক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড? উত্তরে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, তৃণমূলে সেকেন্ডম্যান কেউ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেত্রী। তারপরে কর্মীরা।

 

অভিষেক জানান, “সাতবছর যুব সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সুব্রত বক্সী (Subrata Bakshi), পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) মতো বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ-পরামর্শ নিয়েছি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee), সৌগত রায়ের (Sougata Ray) সঙ্গেও দেখা করব”।

 

এরপরই অভিষেক বলেন, তৃণমূলই সেই দল যারা “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতি চালু চেষ্টা করেছে।

 

এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচারে বিজেপির ইস্যু ছিল তৃণমূলের ‘পরিবারতন্ত্র’। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, “মানুষের কাছে তারা উপযুক্ত জবাব পেয়েছে। বিজেপি যদি একান্তই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তারা সংসদে এ বিষয়ে আইন আনতে পারে”। যেদিন এই আইন হবে, তিনিই সবার প্রথমে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।

 

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা করছে বিজেপি (Bjp) ।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) ছেলে জয় শাহর (Joy Shah) উদাহরণ টেনে অভিষেক বলেন, ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব জয় শাহ। “আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আগামী ২০ বছর তিনি রাজ্য সরকারের কোনও পদে থাকতে চাই না। কিন্তু অমিত শাহর ছেলে কি বলতে পারেন যে, তিনি আগামী ২০ বছরে বিসিসিআই সভাপতি হবেন না”।

 

সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন স্ট্রেট ব্যাটে খেলে নিজের রাজনৈতিক পরিপক্বতার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ এদিন দিয়েছেন অভিষেক।

 

 

Previous articleপ্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ঘোষণা মোদির
Next article৩৩ বিধায়ক যোগ দিলেও জয়ী ৫, বেসুরো একাধিক, আদৌ কজন থাকবে? চিন্তায় বিজেপি