নয়া প্রযুক্তি: স্যাটেলাইটের আগেই এবার হদিশ মিলবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের

এবার স্যাটেলাইটের(satellite) আগেই খোঁজ পাওয়া যাবে সমুদ্রের বুকে কোনও বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়(cyclone) তৈরি হচ্ছে কিনা। সম্প্রতি ভারতের বৈজ্ঞানিকরা(Indian scientist) আবিষ্কার করল এমনই নয়া প্রযুক্তি। নয়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের বায়ুমণ্ডলের গতি প্রকৃতির ওপর নজর রেখে স্যাটলাইট রিপোর্টের বহু আগেই জানা যাবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের অস্তিত্ব।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আগামবার্তা পাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকার ও দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। অবশ্য বর্তমানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেখানে ঝড়ের পূর্বাভাস তখনই জানা যায় যখন উষ্ণ সমুদ্র পৃষ্ঠে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের আশা একেবারে শুরুতে ঘূর্ণিঝড় শনাক্তকরণ সম্ভব হলে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অনেক বেশি সময় পাবে প্রশাসন।

আরও পড়ুন:ফরাসি প্রেসিডেন্টের গালে সপাটে চড় মারলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

খড়গপুর আইআইটির(Kharagpur IIT) পড়ুয়াদের তৈরি অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি দেশবাসীকে নয়া দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মহাসাগরের উষ্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন বায়ুমন্ডলে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। পাশাপাশি প্রবল চাপ তৈরি হয় কোনও একটি অঞ্চলে। খড়গপুর আইআইটির পড়ুয়াদের বানানো নয়া এই প্রযুক্তি ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া বায়ুমণ্ডলের এই সকল অঞ্চলের আগাম খবর দেবে। যার ফলেই মিলবে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা। আইআইটি খড়গপুরের বিজ্ঞানী জিয়া আলবার্ট, বিষ্ণুপ্রিয়া সাউ ও প্রসাদ কে ভাস্করনের এই আবিষ্কারে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হতে চলেছে দেশ।

জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় ভারত সরকারের অধীনে Eddy detection technique ব্যবহার করা হয়েছিল। এবং সম্প্রতি এই প্রযুক্তির আওতায় একটি রিসার্চ প্রকাশিত হয় ‘অ্যাটমোসফেরিক রিসার্চ’ জার্নাল পত্রিকায়। সেখানেই দাবি করা হয় ভারত মহাসাগরের উত্তর ভাগে ২০০৯ সাল থেকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যতগুলো ঝড় হয়েছে তার আগাম হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

Advt

Previous articleBreaking: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ফিরলেন বাড়িতে
Next articleবিজেপিতে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ