মরশুমের প্রথম বর্ষণেই ভাসছে মুম্বই, রাজ্যে কাউন্টডাউন শুরু

বর্ষা ঢুকতে না ঢুকতেই প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত মুম্বই। টানা বৃষ্টির জেরে ভাসছে বাণিজ্যনগরী। জল জমার জেরে বন্ধ হয়েছে যানবাহন চলাচলও। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তা চলে গিয়েছে জলের তলায়।

বুধবার সকালেই মহারাষ্ট্রে ঢুকেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তার জেরেই সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টির দাপটে জলমগ্ন মুম্বই। জল জমে বন্ধ সাবওয়ে।

প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন জায়গায় কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে যানবাহন চলাচল। কুরলা এবং সিয়ন স্টেশনের মাঝে রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় কুরলা থেকে সিএসএমটি পর্যন্ত বন্ধ রেল পরিষেবা। বিভিন্ন এলাকায় সকালে ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন পরিষেবা। গান্ধী মার্কেট এলাকা, ভিলে পার্লে সহ একাধিক এলাকায় হাঁটু ও কোমর জল জমে গিয়েছে।

সাধারণত মুম্বইতে বর্ষা ঢোকে ১০ জুন। এবার অবশ্য আগেভাগেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। মঙ্গলবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি বাণিজ্যনগরীতে।

জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোলাবায় ৭৭ মিলিমিটার এবং সান্টাক্রুজে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমনকী এরপর থেকে তিন ঘণ্টায় বৃষ্টির দাপট আরও অনেকটাই বেড়েছে দুই এলাকায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।

এরই পাশাপাশি, বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে। তারই প্রভাবে বৃহস্পতিবার  থেকেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামীকাল থেকে কলকাতা-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতাতেও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কেপিপি নেতা অতুল রায়, শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর