শুভেন্দুর রাজভবন-যাত্রায় অনুপস্থিত ২৩ বিজেপি বিধায়ক, জল্পনা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে

মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (bjp) বিধায়ক সংখ্যা এখন ৭৪। কিন্তু সোমবার রাজভবনে (rajbhavan) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বহুচর্চিত কর্মসূচিতে গরহাজির (skipped) ২৩ জন বিজেপি বিধায়কই। শুধু রাজভবন অভিযানই নয়, তার আগে বিধানসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত ২৩ বিধায়ক। ফলে একদিকে যেমন মুকুল পরবর্তী পর্বে দলবদলের জল্পনা তীব্র হচ্ছে, অন্যদিকে শুভেন্দুর নেতৃত্বে দলীয় বিধায়কদের একাংশের অনাস্থা ও অসন্তোষের চিত্র ঢাকতে পারছে না বিজেপি। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে অভিযোগ জানাতে যাঁরা গেলেন না প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে আছেন?

 

সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে আসেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক হয়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নালিশ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ৫১ জন বিজেপি বিধায়ক। অনুপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। তার আগে বিধানসভায় বৈঠকেও ওই ২৩ জন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। স্বভাবতই অস্বস্তি চাপা দিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ভাঙনের চোরাস্রোত বইছে। কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। কয়েকজন মুকুল-ঘনিষ্ঠও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি বিধায়কদের ভাঙাতে মুকুলও নাকি যথেষ্ট তৎপর। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ২৩ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বিজেপির ঘরে আরও ভাঙন ধরতে চলেছে? অন্তত এদিনের চিত্র সেই আশঙ্কাকেই বেআব্রু করে দিল।

 

Previous articleঅস্ত্র পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরমান ভোলা
Next articleকলকাতা থেকে আরএমডি সরানোর চক্রান্ত করছে কেন্দ্র: বিরোধিতায় সরব ঋতব্রত