রাজভবনের বারান্দায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল

ভোট-পরবর্তী হিংসাকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সেই লক্ষ্যেই বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের(governor) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। বেনজির ভাবে রাজভবনের(Raj bhavan) বারান্দায় বিজেপি(BJP) বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে(Jagdeep Dhankar)। শুধু তাই নয়, ভোট-পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করে চেনা সুরে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যপাল।

সোমবার রাজভবনে বিজেপির বিধায়ক দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘বাংলায় নির্বাচনের পর হিংসার তান্ডব চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের অন্য কোন মন্ত্রীকে আক্রান্তদের চোখের জল মোছাতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘এতটাও ভয় দেখানো উচিত নয়, যে ভয়ের কারণে সদর্থক আলোচনাটাই করা বন্ধ হয়ে যায়। আশা করব সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সদর্থক ভূমিকা নেবে। সরকারের উচিত সংবিধানের আওতাধীন থেকে কাজ করা।’ শুধু তাই নয় ভোট-পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, এক সাধু ও কাঁকড়াবিছের গল্প টেনে আনেন রাজ্যপাল। জানান, ‘যতই আমাকে আক্রমণ করা হোক, গণতন্ত্রকে সঠিক রাস্তা দেখাতে আমার কাজ আমি করবই। যেকোনও রকম আক্রমণ সহ্য করার ক্ষমতা আমার রয়েছে।’

রাজ্যপালের পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তোপ দাগতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকেও, “কড়া সুরে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্ব মেটার পর আমাদের ৩ হাজারের বেশি কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে ভরা হয়েছে। এসসি এসটিদের জীবন বিপন্ন। বহু কর্মী খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের নানান প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সেই সমস্ত বিষয়ে নিয়ে আজ রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সবটা তাঁকে জানিয়েছি আমরা।”

আরও পড়ুন: টানা ১৩ ঘণ্টা ছোটাছুটিই সার, পাঁচ হাসপাতালে বেড না পেয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের

এর পাশাপাশি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির বিধায়ক দলের বৈঠক নিয়েও এদিন এক জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এদিন রাজ্যপালের কাছে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ পত্র জমা দিতে হাজির হন ৫২ জন বিধায়ক। তবে ৭৬ জন বিধায়কের(মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন) মধ্যে মাত্র ৫২ জনের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে বাকি বিধায়কদের অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে। উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর জল্পনা শুরু হয়েছে একাধিক মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তালিকায় সাংসদের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বিধায়ক। এরই মাঝে রাজভবনেবহু বিধায়কের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই তুলে দিচ্ছে প্রশ্ন।

Previous articleটানা ১৩ ঘণ্টা ছোটাছুটিই সার, পাঁচ হাসপাতালে বেড না পেয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের
Next articleমধ্যযুগীয় বর্বরতা! কুমারগ্রামে মহিলাকে নগ্ন করে মারধর, ভাইরাল ভিডিও