ভারতীয় ভূখণ্ডে কীভাবে প্রবেশ হানের? পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারীরা

কীভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেন চিনা নাগরিক হান জুনওয়ে? হানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড ক্রাক করার জন্য মান্দারিন ভাষা জানা ব্যক্তির খোঁজ এদিন অবধি মেলেনি।

ধৃত ওই চিনা নাগরিকের কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পেছনে রয়েছে আরও বড় কারণ? সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রেফতার হওয়া চিনা নাগরিক হান জুনেই শরীরের মধ্যে অপারেশন করে কোনও মাইক্রো-চিপ বসানো রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সিটি স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে অথবা বুধবার তাঁর সিটি স্ক্যান করানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড খোলার জন্য মান্দারিন ভাষা জানেন এমন কাউকে খোঁজা হচ্ছে। শুধু আর্থিক প্রতারণা নয়, হান ও তার দলবল ভারতে বড় মাপের সাইবার হানার ছক কষেছিল বলেও সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন মালদহে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে হান। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের একদল স্পেশাল অফিসার মালদহে পৌঁছেছেন ধৃতকে জেরা করতে। গত সোমবারই উত্তরপ্রদেশের আদালতে আবেদন করে হানকে হেফাজতে চেয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। স্পেশাল অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হানের বিরুদ্ধে সাইবার ও আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন-আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের, পাল্টা তোপ কুণালের

পাশাপাশি, হানের হেফাজত থেকে যে সব সরঞ্জাম মিলেছে তা দিয়ে টেলিফোনিক কলকে ডেটা কলে রূপান্তর করা যায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে এটাওএ জানা গিয়েছে, হান চিনের জেই গং চেং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে স্নাতক। চিনের সেনাবাহিনীই ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে।