আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের, পাল্টা তোপ কুণালের

জগদীপ ধনকড়, কুণাল ঘোষ

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ ক্রমশই চড়ছে। সোমবার টুইট (Twitte) করার পরে মঙ্গলবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। অবশ্যই বিষয় নিয়ে আগেও তিনি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন ধনকড়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গেও তাঁর দেখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

রাজধানীতে যাওযার আগে দু পাতার চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, “নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রাজ্যে। লাগাতার নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে”। অথচ গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও এবিষয়ে মন্ত্রিসভায় একদিনও আলোচনা করা হয়নি। দুর্গতদের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে চিঠিতে লিখেছেন ধনকড়।

“এভাবে মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। আইন অনুযায়ী প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত।” ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন জগদীপ ধনকর কখনো নিজের টুইটার হ্যান্ডেলের কখনো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-সাঁইবাড়ি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিকাশের, জোট ভাঙতে চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি

তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের জন্য ধনকড়কে বিজেপি নেতা তকমা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) রাজ্যপালের চিঠির প্রেক্ষিতে বলেন, আসলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন ধনকড়। বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে উঠেছে রাজভবন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নির্দেশ মতো ধরনের কাজ করে চলেছেন তিনি। অথচ যখন দিল্লি থেকে করোনার প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন রাজ্যে আসে না, তখন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায় না রাজ্যপালকে।

কুণাল বলেন, নির্বাচনের সময় রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। তখন বিজেপি নেতারা উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাশ হাতে নেওয়ার পর ওই ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে তালিকা দিন রাজ্যপাল- দাবি কুণালের।

Previous articleসোমালিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছিন্নভিন্ন ১৫ সেনার দেহ
Next articleভারতীয় ভূখণ্ডে কীভাবে প্রবেশ হানের? পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারীরা