রোজভ্যালি মামলাকে কেন্দ্র করে এবার নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হলো দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে। সম্প্রতি রোজভ্যালি মামলা শুভ্রা কুন্ডুর জামিন ঠেকাতে ওড়িশা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের তরফে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছে তাতে এই তদন্তে ইডি ও আয়কর দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। এই ঘটনার পর রোজভ্যালি কাণ্ডে দুই তদন্তকারী সংস্থার এমন সংঘাত রীতিমতো নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

চলতি বছরের ১৫ ই জানুয়ারি রোজভ্যালি মামলায় গ্রেফতার হন শুভ্রা কুন্ডু। এরপর থেকে ভুবনেশ্বর জেলে বন্দী রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি শুভ্রা জামিনের আবেদন করায় তার বিরোধিতা করে ওড়িশা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে সিবিআই। হলফনামার ৯ নম্বর পাতার ৩ নম্বর ক্লজে সিবিআই জানায়, ‘রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু সঙ্গে মিলিতভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় করেছেন তার স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডুও। এরপর তদন্ত থেকে তাঁকে বাঁচাতে সাহায্য করেছেন আয়কর দপ্তর ও পুলিশের কর্তারা। সেই সমস্ত অফিসারদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:জিএসটি: অমিতের কণ্ঠরোধের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ নির্মলার

এছাড়াও সিবিআইয়ের পেশ করা হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইডির তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মনোজ কুমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল শুভ্রা কুন্ডুর। তাদের যোগাযোগের প্রভাবিত হয়েছে তদন্ত।’ গুরুতর এমন অভিযোগের পাশাপাশি হলফনামায় জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের দাবি, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী। প্রত্যক্ষদর্শীকে প্রভাবিত এবং প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন তিনি। এই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রমাণ হিসেবে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে জেলে থাকাকালীন ছেলেকে দিয়ে ইমেইলের পাসওয়ার্ড বদল করেছেন শুভ্রা। প্রমাণ লোপাটের জন্য মুছে ফেলা হয়েছে বহু ইমেল।

