করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভার্চুয়াল জগতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে আমবাঙালি। লেখাপড়া, অফিস-কাছারি, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা বা চ্যাট শো- সবই হচ্ছে অনলাইনে, ভিডিওকলে। বাজার-দোকান, খাওয়া-দাওয়া সে তো আছেই। তাহলে জামাইষষ্ঠীটাই বা আর বাদ যায় কেন? অতএব ভার্চুয়াল (Virtual) জামাইষষ্ঠী।

করোনা পরিস্থিতিতে জামাইষষ্ঠীতে ভিডিও কল (Video Call) করে আশীর্বাদ সেরেছেন কোচবিহারের (Coochbehar) শাশুড়ি। জামাই রয়েছেন কলকাতায় (Kolkata)। বিয়ের পর এটাই প্রথম জামাইষষ্ঠী। কিন্তু রাজ্যে জারি বিধিনিষেধে প্রথমবার ষষ্ঠীতে নবদম্পতি যেতে পারেননি কোচবিহার। তাই বলে কি ষষ্ঠীর আশীর্বাদ বাদ পড়বে? খানাপিনা নাই বা হল; আশীর্বাদ পেয়েই খুশি কলকাতার জামাই ময়ুখ রায়।

কোচবিহারের নিউটাউনের আশ্রম রোডে থাকেন ব্যবসায়ী কানু দত্ত। মেয়ে ইন্দ্রানী দত্তের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছে কলকাতার ইঞ্জিনিয়ার ময়ুখের। প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল এদিন। জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল দত্ত পরিবারের। তবে বাধ সেধেছে বিধিনিষেধ৷ জামাইকে ভিডিও কল করে হল ষষ্ঠী। উলুধ্বনি থেকে শঙ্খধনি-বাদ গেল না কিছুই। আর মিষ্টিমুখ? তাও হল ভিডিও কলেই।

আরও পড়ুন:তৃণমূলের জয়ে মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “ত্রিপুরা বাংলার ছোট ভাই”!


শাশুড়ি অনামিকা দত্ত বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে আসতে পারেননি মেয়ে ও জামাই। কিন্তু জামাই ও মেয়েকে আশীর্বাদ করতে মন চাইছিল। তাই এই ভাবনা। জামাই ময়ুখ রায় জানান, কলকাতায় বসে এভাবে যে বাবা-মায়ের আশীর্বাদ পাবেন তা ভাবতে পারেননি৷ একটা দারুন অনুভূতি হল।
