তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মিশন ত্রিপুরা’র প্রস্তুতি শুরু হতেই দল বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়ল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিএল সন্তোষসহ দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৃহস্পতিবারই আগরতলায় এসে বৈঠকে বসে পড়েন। তবে বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য যত না সংগঠনকে মজবুত করার ভাবনা, তার চাইতে জরুরি ভিত্তিতে দলের ভাঙন রুখে দেওয়াই সন্তোষদের মূল টার্গেট।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে সরাতে ত্রিপুরায় সক্রিয় সুদীপ রায় বর্মন গোষ্ঠী। সুদীপের সঙ্গে কম করে ৩৬জন বিধায়ক আছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। একসময় মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে এলেও পরবর্তী সময়ে সুদীপ বিজেপিতে যান। মুকুলও বিজেপিতে যান। মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পর জল্পনা বাড়িয়ে সুদীপ বলেছেন, আমি এখনও বিজেপিতে আছি। ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে! ফলে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিল্লি থেকে সন্তোষদের পাঠিয়ে বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, অন্য রাজ্যেও সংগঠন বাড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদির পালটা মুখ হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য রাজ্যে শুধু আসন বা ভোট শতাংশ বৃদ্ধি উদ্দেশ্য নয় তৃণমূলের। উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের ক্ষমতা দখল। একান্ত তা না হলে বিরোধী আসনে বসা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে গান বাঁধাও শেষ। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় ‘খেলা হবে’ স্লোগান বাজতে শুরু করেছে ত্রিপুরায়। বিজেপির টেনশন বাড়ছে। তৃণমূল ঘর গোছাচ্ছে।
আরও পড়ুন:নারদ মামলা স্থানান্তরে CBI-এর আর্জির গ্রহনযোগ্যতাই নেই, সওয়াল সিদ্ধার্থ লুথরা’র