নারদ-শুনানি ২ দিন পিছিয়ে দিতে হাইকোর্টকে অনুরোধ শীর্ষ আদালতের

কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চালু থাকা নারদ-মামলার পরবর্তী শুনানি দু’দিন স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানালো দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিলো৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই শুনানি বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে৷

শুনানি এইভাবে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নারদ-কাণ্ড স্থানান্তরের মামলায় গত ৯ জুন বৃহত্তর বেঞ্চ এক নির্দেশ জারি করেছে৷ সেই নির্দেশই চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের তরফে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনে শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী মঙ্গলবার ৷ যেহেতু এই মামলাটির বিষয়বস্তু কলকাতা হাইকোর্টে চালু থাকা নারদ-মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই শীর্ষ আদালতের এ সম্পর্কিত রায় হাইকোর্টের জানা প্রয়োজন৷ এ কারণেই হাইকোর্টকে অনুরোধ করা হচ্ছে, বিচারাধীন থাকা নারদ-মামলা স্থানান্তরের বিষয়টির শুনানি দু’দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক৷

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ গুপ্তা এবং বিচারপতি আর রামাসুব্রহ্মণ্যম-এর এজলাসে রাজ্য সরকার ও মলয় ঘটকের করা মামলার ( SLP-crl no 004228 Of 2021) শুনানির কথা ছিলো৷ কিন্তু শুনানি হয়নি, আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য হয়েছে৷  শীর্ষ আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাখিল করা আবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারাধীন নারদ-মামলায় একতরফা সিদ্ধান্তে CBI রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে পক্ষভুক্ত করেছে৷ অথচ গত ৯ জুন বৃহত্তর বেঞ্চ তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে৷ তাঁদের কথা না শুনে এই মামলার বিচার-পর্ব যথাযথ এবং সুষ্ঠ হতে পারেনা৷ বৃহত্তর বেঞ্চের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য এবং আইনমন্ত্রী ৷ সুপ্রিম কোর্টে এখনও এই মামলার শুনানি বা রায় ঘোষণা হয়নি৷ শীর্ষ আদালত যদি রাজ্য সরকার এবং আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণের নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে বৃহত্তর বেঞ্চ তা গ্রহণে বাধ্য হবে৷ ফলে মামলার অন্য দিকেও ঘুরে যেতে পারেন সেই কারণেই শীর্ষ আদালত নারদ মামলার শুনানি ২ দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে৷

প্রসঙ্গত, নারদ-মামলা স্থানান্তরের আবেদনে CBI পক্ষভুক্ত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই তিনজনকে মামলায় পক্ষভুক্ত করা সত্ত্বেও বৃহত্তর বেঞ্চ গত ৯ জুন CBI-এর আপত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর পেশ করা হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদিকে বৃহত্তর বেঞ্চ জানায়, ” সঠিক সময়ে পেশ না করার কারণে তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করা হবে না৷ প্রয়োজনে সওয়ালের সময় রাকেশ দ্বিবেদি হলফনামার বিষয়বস্তু আদালতে বলতে পারেন৷

বৃহত্তর বেঞ্চের এই নির্দেশই চ্যালেঞ্জ করেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী৷

Previous article১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বাধিক ভারতীয় টাকা জমা পড়ল সুইস ব্যাংকে
Next articleধাক্কা সামলে মাত্র ২১ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সে, ৮ পয়েন্ট নামল নিফটি