অর্থই অনর্থম! মালদহ হত্যাকাণ্ডে সম্পত্তিই কারণ, সন্দেহ পুলিশের

বাবার অনেক সম্পত্তি। তা একা হাতাতেই বাবা-মা-বোন-দিদাকে খুন করে পুঁতে রেখেছিল ছোটছেলে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ পুলিশ। নিহতদের আত্মীয়, পড়শিদের সঙ্গে কথা বলার পরে ওই সন্দেহ অনেকটাই জোরদার হয়েছে।

শনিবার সকালে ওই হাড় হিম করা ঘটনার খবর সামনে এসেছে। কালিয়াচক থানা এলাকায় একই পরিবারে চার জনকে খুন করে মহম্মদ আসিফ (Md Asif)। আসিফের বাবা জাওয়াদ আলি (Jaoyad Ali), ইরা বিবি (Era Bibi), রিমা খাতুন (Rima Khatun) ও আলেক নূর বেওয়া (Aleknoor Bewa)। দেহগুলি উদ্ধার করছে পুলিশ। খাবারে বিষ মিশিয়ে নাকি অন্য কোনভাবে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (Sabina Yasmin)। সেখানেই বাড়ির মধ্যে থাকা একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। সেখান থেকে অনুসন্ধান করে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, মহম্মদ আসিফ ওরফে হান্নান স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। এরপর থেকে সে বাড়িতেই থাকত। এমনকী, তার বাড়িতে কাউকেই ঢুকতে দিত না। তার এক দাদা রয়েছেন। নাম আরিফ। তাঁকেও আসিফ প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ফলে সে চার মাস আগে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বড় দাদার যোগাযোগ থাকলেও ছোট ভাইয়ের কোনও যোগাযোগ ছিল না। প্রতিবেশীদের ওই বাড়িতে আসিফ ঢুকতে দিত না। তাতেই তাদের সন্দেহ দানা বাঁধে। এর পরই শুক্রবার আসিফের দাদা বাড়িতে ফিরে আসে। প্রতিবেশীরা জানতে পারে, আসিফ চারজনকে খুন করে বাড়ির ঘরের মধ্যে পুঁতে রেখেছে।

সূত্রে খবর, আসিফের বাবার প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। মাঝে মাঝে তার বাবার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে সে খরচ করত। তবে কী উদ্দেশ্যে খরচ করা হচ্ছে সেটা কখনই তাদের বলত না। ধৃতের কাকা নৌসাদ মহম্মদ জানান, ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন কমপিউটার কিনেছিল আসিফ। সে জানিয়েছিল সে একটি অ্যাপ তৈরি করছে। সেই কারণেই টাকার দরকার। এরপর থেকে বাড়ির বাইর বের হত না। খুনের ঘটনায় আরিফের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসানসোলে নবজাতকের নাম অগ্নিমিত্রা!

Previous articleকরোনা কমলেও রাশ আলগা নয়, ৫ পরামর্শ দিয়ে মুখ্য সচিবদের চিঠি কেন্দ্রের
Next articleদ্বিতীয় ঢেউয়ের পর প্রথম আনলক তেলেঙ্গানা