হাসিনার দেওয়া নতুন ঘর পেলেন আরও সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবার

খায়রুল আলম, ঢাকা

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘উপহার’ হিসেবে নতুন ঘর পেল আরও সাড়ে ৫৩ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের এসব পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, এটাই আমার লক্ষ্য, যেই স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছেন তার সৃষ্ট বাংলাদেশে একটি মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। এই নীতি নিয়েই আমরা চলছি, এই নীতি নিয়েই আমরা চলব।” গৃহহারা ও ভূমিহীন কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত কেউ থাকলে দেশবাসীকে তা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমরা তাদের জন্য ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করে দেব। আমি মনে করি যে অন্তত এইটুকু করলে আমার বাবার আত্মাটা শান্তি পাবে।”

অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৫ কোটি টাকা দিয়ে এরই মধ্যে কোভিড সহায়তা তহবিল তৈরি করা হয়েছে।
কোনো মানুষ যেন গৃহহীন না থাকে সেই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে গৃহনির্মাণ তহবিলের যাত্রা শুরু করা হয়।

‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই ঘোষণা বাস্তবায়নে এমন কার্যক্রম চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার অসহায়, ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণও দেবে। সরকারের এই উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যুক্ত হয়েছেন।

দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ন’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়।
এই লক্ষ্যে গত বছর জুনে সারা দেশে দুই শ্রেণিতে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার- যাদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই বা জরাজীর্ণ ঘর রয়েছে, এমন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করা হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয় তাদের জীবন বদলের উদ্যোগ।

আরও পড়ুন- ‘যে দিন নিজের খিদে শেষ হয়ে গিয়েছে বুঝবো, সেদিন খেলা ছেড়ে দেব’, বললেন অশ্বিন

 

Previous articleসোমবার থেকে শুরু হচ্ছে না গণটিকাকরণ, জানিয়ে দিল রাজ্য
Next articleকরোনা পরিস্থিতিতে সত্তরোর্ধ্বদের জেল মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মেধা পাটকর