‘বাংলা ভাগে’ সমর্থন নেই দিলীপের, তবে কার্যত বার্লারের পাশেই শুভেন্দু

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা(John barla)। তার এহেন দাবিতে রীতিমতো উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) নিজেও বার্লারের মন্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) গলায় এই ইস্যুতে বিপরীত সুর ধরা পড়ল। রবিবার দুপুরে বঞ্চনা ইস্যুতে কোচবিহারের সাংসদকে কার্যত সমর্থন জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলে বিজেপি সাংসদ(BJP MP) জন বার্লা রীতিমতো সরব হয়ে ওঠার পর বিজেপিকে তুলনা করে রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এরপর তড়িঘড়ি মাঠে নামেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না। জন বার্লা যা মন্তব্য করেছেন তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দলের সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে নানা মুনির নানা মত। বিজেপির একাংশ মনে প্রাণে চায় বাংলা ভাগ হোক। তবে সরাসরি এই মন্তব্য না করলেও এদিন কার্যত জন বার্লার পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল সুভেন্দু অধিকারীকে।

আরও পড়ুন:মমতাকে ‘বাঘিনী’ বলে সম্বোধন করে মোদি-শাহকে জোর কটাক্ষ উদ্ধব ঠাকরের

রবিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যভাগ নিয়ে কিছু বলছি না। সভাপতি যা বলেছেন সেটা পার্টির কথা। তবে উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে জন বার্লা যা বলেছেন, সেই যন্ত্রণা আমাদের সকলের রয়েছে। জঙ্গলমহল থেকে সুন্দরবন সকলের এই যন্ত্রণা রয়েছে।’ শুধু তাই নয় তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, ‘দক্ষিন কলকাতার চারটে লোক গোটা পশ্চিমবঙ্গ চালাবে? আমরা কি বন্যার জলে ভেসে এসেছি? তাই জন বার্লার যন্ত্রণা, অভিমান আমাদের পশ্চিমাঞ্চলেরও রয়েছে।’ এদিকে দিলীপ শুভেন্দুর এই দু ধরনের মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক আরো উস্কে দিয়েছে। শাসক দলের তরফে বিজেপিকে রীতিমতো তোপ দেগে বলা হয়েছে, “বিজেপি মুখে বলে এক কাজে করে আর এক। এটা আজকের ঘটনা নয়, বিজেপি মুখে বলে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। কিন্তু আসলে এরা একটি চরম সাম্প্রদায়িক দল। প্রবল বিতর্কের মাঝে পড়ে এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল এর চেষ্টা হলেও আদতে তলে তলে রাজ্য ভাগের ষড়যন্ত্র করে চলেছে ওরা। যদিও তা কখনো সফল হবে না।”

 

Previous articleবৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনলাইন ক্লাস করছে মেয়ে মাথায় ছাতা ধরলেন বাবা, কুর্নিশ দেশবাসীর
Next articleচোখ রাঙাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাসের নয়া প্রজাতি, আশঙ্কার বার্তা শোনালেন এইমস প্রধান