অমৃতাভকে রাতভর টানা জেরায় মিলছে নয়া তথ্য, বাড়ছে গ্রেফতারির সম্ভাবনা

জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনায় ‘মৃতর’ জীবিত থাকার ঘটনার শিকড় কতদূর সেটা জানতে রাতভর নিজাম প্যালেস অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরী (Amritabha Chowdhury) তাঁর বাবা মিহির চৌধুরীকে (Mihir Chowdhury) জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জ্ঞানেশ্বরী (Gyaneswari) ট্রেন দুর্ঘটনায় নিজেকে মৃত বলে ঘোষণা করে চার লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল জোড়াবাগানের অমৃতাভ চৌধুরীর পরিবার। মিহির চৌধুরী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর থেকে অনেকদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বেশ কয়েক বছর তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu)। কয়েক বছর হল তিনি বাড়িতে ফিরেছেন।

সিবিআই সূত্রে খবর, ইদানিং প্রোমোটারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন অমৃতাভ। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে আদি নিবাস চৌধুরীদের। গ্রামের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অমৃতাভর। সেখানে থেকেই তিনি গত দেড় বছর ধরে প্রোমোটারি ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। মন্তেশ্বরে চারতলা বিশাল বাড়ি তৈরি করেন। গ্রামের বাড়ি মন্তেশ্বরের বামুনপাড়ায় আরও একটি দোতলা বাড়ি তৈরিও চলছে।

এগারো বছর আগে জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনায় অমৃতাভর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য অনেকের মতোই তাঁর দেহও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে অমৃতাভকে মৃত বলে জানানো হয়। চার লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পায় তাঁর পরিবার। তাঁর বোন মহুয়া পাঠক রেলে চাকরি পান।

প্রথমে নিজেকে অমৃতাভ বলে মানতে না চাইলেও পরে জেরার মুখে অভিযুক্ত জানান তিনি অমৃতাভ চৌধুরী। যে টাকা পাওয়া গিয়েছে সুদ সমেত তা ফেরত দেবেন এবং চাকরি ছেড়ে দেবেন আত্মীয়া। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, রেলের আধিকারিকরা এর সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। কারণ, ডিএনএ স্যাম্পল ম্যাচ করা, ভুয়ো রিপোর্ট জমা- এই সব বাইরে থেকে করা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার অমৃতাভকে নিয়ে জোড়াবাগানের বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখান থেকে বেশকিছু ফটো সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হচ্ছে অমৃতাভ ও তাঁর বাবাকে। রবিবার রাতভর জেরার পর, সোমবার সকালেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই পরিস্থিতিতে যদি সিবিআই সন্তুষ্ট না হয় তাহলে অমৃতাভর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

 

 

Previous article১৪ বছরে পৃথিবীর তাপ ধরে রাখার হার বেড়েছে দ্বিগুণ, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নাসার
Next articleআলাদা রাজ্যের কথা ভাবার সময় আসেনি, বার্লার উল্টো সুর বিস্তার গলায়