সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি পালন করছে না চিন, অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর

লাদাখ সীমান্ত (Ladakh border) থেকে সেনা সরানোর বার্তা দিয়েছিল চিন ,(China)। কিন্তু বাস্তবে এখনো সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি বেজিং। সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ইকনমিক ফোরামে(world economic forum, Qatar) উপস্থিত হয়ে চিনের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর (external affairs minister Jaishankar)।

বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশই মাত্রাতিরিক্ত সেনা মোতায়েন না করার ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চিন তাদের দেওয়া কথা রাখছে না। বিদেশ মন্ত্রীর অভিযোগ , সেনা সরানোর কথা বলেও লাদাখে এখনও প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। চিনের এই প্রতিশ্রুতি পালন না করার প্রবণতাই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, লাদাখে শান্তি ফেরাতে সীমান্তে বাফার জোন তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে। কিন্তু সেই বাফার জোন কোন এলাকাকে করা হবে তা নিয়েও চিন নীরব। বাফার জোনের মধ্যে থাকা এলাকাটিকে অলিখিত ভাবে দুই দেশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণরেখা হিসেবে মেনে নেবে। সেই বিষয়টি নিয়েও চিনের তরফে কোনো পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্য দিকে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতও সম্প্রতি বিস্ফোরক একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন।’ তাঁর দাবি, ২০২০ সালের মে ও জুন মাসে গালোয়ান উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়া সংঘর্ষের জেরে পদ্ধতিতে রদবদল করেছে তারা। চিন বুঝতে পেরেছে যে পাহাড়ি এলাকায় লড়াইয়ের জন্য তাদের সৈনিকদের প্রশিক্ষণ নেই। তিব্বতের পাহাড়ি এলাকায় লড়াই করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় জওয়ানরা পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ করতে পারদর্শী বলে জানিয়েছেন তিনি।

Previous articleকার কঙ্কাল? জানতে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক দলের
Next articleদিল্লিতে মোদি -শাহর কাছে নীতীশ? জল্পনা মন্ত্রিসভায় যোগদান নিয়ে