জয়পালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও স্পষ্ট, নিউটাউন এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল না

সুপ্রিম কোর্টের (Suprime Court) হস্তক্ষেপ ও পাঞ্জাব হাইকোর্টের (Panjabi High Court) নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত (Postmortem) হয় নিউটাউন এনকাউন্টারে (Newtown Encounter)মৃত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারের (Joypal Bhullar) দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও স্পষ্ট, জয়পালের শরীরে আলাদা কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তার। অর্থাৎ,ভুয়ো এনকাউন্টারের যে তত্ত্ব পাঞ্জাবের এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর পরিবারের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল, তা ধোপে টিকলো না।

গত ৯ জুন সাপুরজির অভিজাত আবাসনে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম। তখনই দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশের এনকাউন্টারে খতম হয় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও জশপ্রীত সিং।

জয়পাল ও জশপ্রীতের ময়নাতদন্তে শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের হাতে গান পাউডারের নমুনাও মেলে। যাতে গ্যাংস্টারদের দিক থেকেও গুলি চালানোর প্রমাণও পাওয়া যায়।

এরপর পাঞ্জাব থেকে আসা জয়পালের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল মৃতদেহ। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না জয়পালের বাবা। তাঁর দাবি, এনকাউন্টারের ঘটনা পুলিশের সাজানো। মারধর করার ফলেই জয়পালের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন জয়পাল ভুল্লারের বাবা।

এরপর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুল্লারের বাবা। যদিও সে সময় তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় পাঞ্জাবের হাইকোর্ট। আদালত জানায়, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা, তাই কলকাতা হাইকোর্টের বিষয় এটি।
এরপর পাঞ্জাব হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ভুল্লারের পরিবার।

শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ভুল্লারের পরিবারের আর্জি শুনতে হবে পাঞ্জাব হাইকোর্টকেই। গত সোমবার ছিল সেই আবেদনেরই শুনানি। সেখানে শুনানির পর পাঞ্জাব হাইকোর্ট দ্বিতীবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। চণ্ডীগড় পিজিআই হাসপাতালে ফের ময়নাতদন্ত হয় জয়পালের। প্রথম রিপোর্টের সঙ্গে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হুবহু মিলে যায়।

আরও পড়ুন- কিশোরীর ফুসফুস থেকে সূচ বের করে চমকে দিলেন কলকাতার চিকিৎসকরা

Previous articleআইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিং এ অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষে জাদেজা
Next articleচুঁচুড়ায় পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃদ্ধ খুনে চাঞ্চল্য!