‘জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, সর্বদল বৈঠকে আশ্বাস মোদির

২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরের(Jammu Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম উপত্যকার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বদের সঙ্গে সর্বদল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপত্যকার ৮টি রাজনৈতিক দলের ১৪ জন নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister) বাসভবনে চলে এই বৈঠক। উপত্যকার নেতাদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ও এনএসডি অজিত ডোভাল(Ajit doval)। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) উপত্যকার নেতৃত্বদের আশ্বাস দিয়েছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সঠিক সময় এলে অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে মোদি উপত্যকার নেতৃত্বদের কাছে পরিষ্কার করেননি, ঠিক কোন কারণে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করা হয়েছিল! আর কোন পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে, যার জন্য ফের নতুন করে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে? যদিও জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় নেতৃত্ব মনে করে মোদি জমানায় মোটেই আর জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সর্বদল বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রকাশ্যে আনা না হলেও জানা যাচ্ছে, প্রায় একযোগে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর। শোনা যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সঠিক সময়ে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। এখনই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় আসেনি। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, উপত্যকাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত করার পর উপত্যকার নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিধানসভা অঞ্চল পুনর্নির্মাণ করা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

পাশাপাশি করোনা মহামারীর পর বর্তমানে জম্মু কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে বলে দাবি করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা এটাও জানান যে উপত্যাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। একইসঙ্গে এ দিনের বৈঠকে সবরকম দূরত্বকে সরিয়ে রেখে এক সুন্দর কাশ্মীর গড়ার লক্ষ্যে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিন বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূলস্তরে জম্মু কাশ্মীরের গণতন্ত্রকে ফেরানো। যাতে জম্মু-কাশ্মীর একটি নির্বাচিত সরকার পায় এবং উপত্যাকার উন্নয়নকে গতিশীল করে।’ পাশাপাশি আরও এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের বৃহত্তম শক্তি হ’ল একটি টেবিল জুড়ে বসে মতামত বিনিময় করার ক্ষমতা। আমি উপত্যকার নেতৃত্বদের জানিয়েছি, মানুষের জন্য বিশেষত উপত্যকার যুবসমাজকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি যথাযথভাবে পূরণ হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে।’

 

Previous articleতালিকা নিয়ে অসন্তোষ, উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের মামলা
Next articleকোভিড নয়, কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেওয়া হয়েছে অ্যামিকাসিন অ্যান্টিবায়োটিকের টিকা!