কসবায় টিকা ও ভুয়ো IAS কাণ্ডের তদন্তভার নিল লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ

এবার কসবায় (Kasba) টিকা ও ভুয়ো IAS কাণ্ডের তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগ (Detective Department)। গুরুত্ব বিবেচনা করে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশনের হাতে গেল এই প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তের বিষয়টি।

শুধু নিজেকে IAS ভাবা নয়, বাড়ির বাইরে নেমপ্লেটে পর্যন্ত IAS পরিচয় দিয়ে রেখেছিল ধৃত দেবাঞ্জন দেব। যে গাড়িটি সে ব্যবহার করতো, সেখানেও নামল নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরতো সে। যদিও সে গাড়িও তার নিজের নয়, মাসে ৩৫ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়া ছিল। গাড়ির ড্রাইভারকে সে বেতন হিসেবে মাসে দিতো ২৫ হাজার টাকা! ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব কুকীর্তির এখানেই শেষ নয়, মোটা টাকা নিয়ে কলকাতায় ও কলকাতার বাইরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করতো সে।

পুলিশের দাবি, নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখাতেই বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্পের আয়োজন করত সে।
খোদ রাজ্য সরকার যেখানে ভ্যাকসিনের অভাবের কথা বলছে সেখানে প্রতারক দেবাঞ্জন দেব ভ্যাকসিন পেল কীভাবে। আদৌ কি ওইসব ভ্যাকসিন আসল? নাকি ভ্যাকসিনের পরিবর্তে ভায়ালে ছিল অন্যকিছু। এরপর রাতভর ভুয়ো IAS অফিসারকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন খোদ যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। যদিও তাঁর উদ্যোগেই পাকড়াও করা হয় দেবাঞ্জন দেবকে।

Previous articleরেল অবরোধ ঘিরে সকাল থেকে রণক্ষেত্র মল্লিকপুর স্টেশন
Next articleলকডাউনে কাজ নেই, পেটের দায়ে মাছ বিক্রি করছেন অভিনেতা!