প্রবল চাপে নার্ভ ফেল করে সাংবাদিকের চ্যানেলকে ‘চটি চাঁটা’ বলে ক্ষোভের মুখে শুভেন্দু

তিনি যে প্রবল চাপে রয়েছেন, তা পরিষ্কার। নারদা থেকে সারদা (narda & sarda) তো রয়েইছে, এমনকী পরিষদীয় দলেও তাঁর নেতৃত্বকে কার্যত আদি বিজেপি (old bjp) নেতারা চ্যালেঞ্জ করতে নেমে পড়েছেন। শুধু দলের অন্দরে নয়, দলের বাইরেও প্রবল চাপ নিতে না পেরে নার্ভ ফেল করে মুখ ফসকে সাংবাদিকদেরই আক্রমণ করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। ব্যবহার করলেন অনৈতিক, অশালীন, অসাংবিধানিক ভাষা। আর সে নিয়ে মিডিয়া মহলে ব্যাপক ক্ষোভ। কেউ কেউ বলছেন, সাংসদ মহুয়া মৈত্র (mahua maitro) যা বলেছিলেন, সেই বক্তব্যকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন অধিকারী পরিবারের বড় পুত্র। ‘এই দুঃসাহস’ বন্ধ করতে হবে।

পিএসি-র চেয়ারম্যান (pac chairman) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি জল্পনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন এক সাংবাদিক। শুভেন্দু তার উত্তর দিতে চাননি। বলেছেন, আপনার গল্পের উত্তর শুভেন্দু কেন দেবেন? কিন্তু সাংবাদিক একটু চেপে ধরতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। জিজ্ঞাসা করেন, কোন চ্যানেল? বুম দেখে বলেন, চটি চাঁটা? এবার বুমটি হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যান।

প্রকাশ্যে গালিগালাজ করা শুভেন্দুর এই প্রথম নয়। এর আগেও করেছেন। এই তো সেদিনের কথা, অবরোধের মাঝে পড়ে শুভেন্দু ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এবং মেজাজ হারিয়ে বলেছিলেন, ‘এই শুয়ো… চ্ছা, তোর নামটা বল। জুতিয়ে লম্বা করে দেব।’ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এবারও। বিরোধী দলনেতা মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের এই ভাষায় আক্রমণ করবেন, তা বুদ্ধিজীবীমহলও ভাবতে পারছেন না। তাঁরাও বলছেন, রাজনীতিকরা দেশটাকে কোথায় নামাবেন? নতুন প্রজন্ম কী দেখছে?

প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধী দলনেতার এই ‘অভব্য’ কথার প্রতিবাদে সাংবাদিক মহল কী নিশ্চুপ থাকবে? প্রেস ক্লাব (press club) নামের সাংবাদিকদের তথাকথিত রক্ষাকবজের পীঠস্থান থেকে প্রতিবাদ কেন হবে না? শুভেন্দু কেন ক্ষমা চাইবেন না, এই দাবি তো ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে। এই জল যে অনেক দূর গড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন- দিলীপ-স্বপন প্রকাশ্য লড়াই, খুল্লামখুল্লা বিজেপির অন্দরমহল

 

Previous articleদুর্গতদের পাশে গীতাঞ্জলি সালকিয়া
Next articleআলাদা রাজ্যের দাবি তোলা কি অপরাধ? সংবিধান কী বলছে!