ত্রিপুরা বিজেপির ডামাডোল: বিপ্লবের বৈঠক এড়ালেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপরা

ত্রিপুরা বিজেপির (Tripura bjp) ডামাডোল চেষ্টা করেও লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বাংলার ভোটের পর মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ত্রিপুরার বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মনের কার্যকলাপ ঘিরে দুশ্চিন্তায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন শিবির। আদি কংগ্রেসি থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যাওয়া সুদীপ ত্রিপুরায় পালাবদল পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও গেরুয়া শিবিরে রীতিমত কোণঠাসা ও বিদ্রোহী। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর মন্ত্রিত্বও চলে গিয়েছে। কিন্তু দলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সুদীপ যাতে মুকুল রায়ের প্ররোচনায় ত্রিপুরায় দল ভাঙানোর চেষ্টা না করেন সেজন্য আপাতত সুদীপকে তোয়াজের রাস্তায় হাঁটছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই কৌশলের পরেও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে আদৌ স্বাভাবিক হয়নি তার প্রমাণ মিলল শুক্রবারের এক বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গেলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপ ও আরও কয়েকজন বিধায়ক। নিঃসন্দেহে এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে ত্রিপুরা সরকার।

শুক্রবার ত্রিপুরা বিধানসভায় বিকেল ৪.৫০ মিনিট নাগাদ বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় দু’ঘণ্টা। জানা যায়, মূলত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের কথাই উঠে এসছে বৈঠকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দল সম্পর্কিত প্রচার নিয়েও কথা হয়। কিন্তু এই বৈঠকে মোট ৩৬ জন বিধায়কের মধ্যে দশজনই গরহাজির ছিলেন। বিপ্লব দেবের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন, পরিমল দেববর্মন, আশিস কুমার সাহা, রামপ্রসাদ পাল, আশিস দাস প্রমুখ। সূত্রের খবর, বৈঠকে গরহাজির ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও।

আরও পড়ুন:উপ-প্রধান দল বদলাতেই ঝাড়গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে

 

Previous articleউপ-প্রধান দল বদলাতেই ঝাড়গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে
Next articleবাবুলের নামে নিখোঁজ পোস্টার আসানসোলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা তোপ সাংসদের