কেলেঙ্কারির তথ্য প্রমাণ দিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা মহুয়ার ,’আঙ্কেলজি, এটা কি সাংবিধানিক?’

জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারির পরে এবার হরিয়ানার আবাসন কেলেঙ্কারি। এবারেও কাঠগড়ায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর আগে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এত কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। গতকাল অর্থ্যাৎ সোমবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জোইন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিসেবে তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে নাম থাকার তথ্য প্রকাশে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই রীতিমত তথ্য প্রমাণ সহকারে রাজ্যপাল হওয়ার পূর্বে জনতা দলের সাংসদ থাকাকালীন হরিয়ানা আবাসন কেলেঙ্কারিতে জগদীপ ধনকড়ের যুক্ত থাকার নথি প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমুল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে আবাসনের জমি বরাদ্দের সুবিধাভোগী ছিলেন ধনকড়। যদিও পরে সেই বরাদ্দ হারিজ করে দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার একটি টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেখানে এই সংক্রান্ত রায়ের প্রতিলিপি তুলে ধরে রাজ্যপালকে আঙ্কেলজি, এটা কি সাংবিধানিক বলে খোঁচা দেন। তথ্য প্রমাণ সহকারে টুইট করে মহুয়া ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘বিশুদ্ধতার প্রতীক’, রাজ্যপাল বেআইনি আবাসনের বরাদ্দের সুবিধাভোগী ছিলেন, যেটা পরে বাতিল করে দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চ। এটা কি সাংবিধানিক ছিল, আঙ্কেলজি?

মহুয়ার পোস্ট করা রায়ের প্রতিলিপিতে স্পষ্ট, ১৯৯৭ সালের এই আবাসন কেলেঙ্কারি মামলায় রায়দান করেছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল, ডিসক্রিশনারি কোটায় যে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাঁর জন্য আবেদনকারীরা সেই জমি পাওয়ার যোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখাই হয়নি। ওই জমি পাওয়ার জন্য আবেদনকারী কর্মক্ষেত্রে বিশিষ্ট কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়নি। ওই জমি পাওয়ার জন্য আবেদনকারী কর্মক্ষেত্রে বিশিষ্ট কিনা বা দুঃস্থ কিনা তার উল্লেখ করেননি আধিকারিকরা। এমনকি জমিগুলি আবেদনকারীদের দেওয়া যাবে কিনা তাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়নি। ফরিদাবাদ, গুরগাঁও ও পাঁচকুল্লার জমিগুলি বহু সাংসদ ছাড়াও একাধিক রাজ্যের নির্বাচিত বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। যাঁদের নামে জমিগুলি বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে সবার প্রথমে জগদীপ ধনকড়ের নাম রয়েছে। এবং তা লাল কালি দিয়ে স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে তথ্য প্রকাশ্যে আনার পরই প্রেস কনফারেন্স ডেকে রীতিমত নিজেকে নির্দোষ সাব্যস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন ধনকড়। আজ ফের আবাসন কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর এখনও এনিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। গতকালের পর থেকে রীতিমত বেকায়দায় পড়েছেন রাজ্যপাল। নিজেকে বাঁচাবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি।

Previous articleযাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বচসা স্থানীয়দের, লাঠিচার্জ বাহিনীর
Next articleচোরে চোরে মাসতুতো ভাই! এবার গ্রেফতার দেবাঞ্জনের শাগরেদ ভাই কাঞ্চন দেব