কোভিড বিধি মেনে বিধানসভায় আসন বিন্যাস, মন্ত্রীদের ঘরে নয়া ফলক

কোভিড সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে জারি বিধিনিষেধের মধ্যেই বিধানসভায় (Assembly) শুরু হচ্ছে অধিবেশন। সুতরাং সেই অধিবেশনেও কড়া ভাবে মানা হচ্ছে কোভিড (Covid) বিধি। সে কথা মাথায় রেখেই আসন বিন্যাস করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে বিধানসভায় বাজেট (Budget) অধিবেশন শুরু হবে। বদলে গিয়েছে বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা। সপ্তদশ বিধানসভায় বিধায়করা কোথায় বসবেন, তা নির্ধারিত হয়েছে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে।

 

বিধানসভার গভর্নর্স গ্যালারিতে বিধায়করা বসবেন। দোতলায় দর্শকদের আসনেও বসতে পারেন বিধায়করা। পাশাপাশি, বসার জায়গা হতে পারে সাংবাদিকদের আসনেও। কোভিডের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।

 

বিধানসভায় মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বসার জায়গা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই বিজেপি (Bjp) ছেড়ে তৃণমূলে (Tmc) ফিরেছেন মুকুল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটেই জয়ী হন। বিধানসভায় মুকুল রায় যে আসনটি বসবেন, সেটি সাধারণত বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষীয়ান নেতার জন্যই নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। আগে সেই ৬৫ নম্বর আসনে বসতেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। সেই আসনটি মুকুল রায়কে দেয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

 

দশ বছর বাদে ফলকও বদল হল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের। নয়া ফলক পেলেন বঙ্কিম হাজরা, পুলক রায়, রথীন ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘর। তাঁর ঘর বদল হয়নি, শুধু ফলকে বদল এসেছে।

 

বদল হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ঘরেও। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার যে ব্লকে বসেন সেই অংশের একেবারে শেষের ঘর ফিরহাদ হাকিমের। তিনিও অবশ্য একই ঘরে বসবেন। তাঁর দফতর বদল হলেও, ঘর বদল হয়নি। বদল হয়েছে ঘরের ফলক। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী জায়গায় এবার তিনি পরিবহন ও আবাসনের দায়িত্বে। পাশাপাশি ঘরেও এসেছে বদল। ফিরহাদ হাকিমের পাশেই রয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhandev Chatterjee)ঘর। তাঁরও দফতর বদল হয়েছে কিন্তু বিধানসভায় ঘর বদল হয়নি। ফলে ঘরের ফলক বদল হল।

 

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallik) গত ১০ বছর ধরে ছিল খাদ্য দফতর। এবার তিনি পেয়েছেন বন দফতর। তবে ঘর একই আছে, ঘরের ফলক বদল হয়েছে। পাশেই ঘর পেয়েছেন খাদ্যের নয়া মন্ত্রী রথীন ঘোষ। রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) অবশ্য এবার প্রথম মন্ত্রী। তিনি নতুন ঘর পেয়েছেন। তার পাশেই অবশ্য ঘর অরুপ বিশ্বাসের। তিনি ছিলেন পূর্ত ও ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে। এবার তিনি বিদ্যুৎ দফতর পেয়েছেন। তার ঘর অবশ্য একই আছে। তবে ফলক বদল হয়েছে।

 

 

 

Previous article‘রাস্তায় বসে এমন ড্রোন বানানো যায় না’, জম্মু হামলায় পাকিস্তানকে দুষলেন সেনা অফিসার
Next articleগুপ্তচর হানকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিল লখনউ এটিএস