বেছে বেছে কেন আদিদের শাস্তি? ‘নব্য জামাই’দের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ বিজেপির নিচুতলা

বিজেপিতে (bjp) এবার কী গণবিদ্রোহ? নাকি আদি বনাম নব্যর ( old vs new) প্রকাশ্যে লড়াই? আদি বিজেপির বহু পদস্থ নেতৃত্বর সাফ কথা, বেছে বেছে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে আদি বিজেপি নেতাদের। আর দলবিরোধী কাজ আর বিবৃতি দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন নব্য বিজেপিরা। এই জামাই আদরের অর্থ কী? এখন দলের ভিতরে বলছি, এরপর প্রকাশ্যে বলব। এরপর সকলে না হয় প্রকাশ্যে বলব। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে বিজেপির অন্দরমহল।

ঘটনার সূত্রপাত মালদহ আর হুগলি জেলা নিয়ে। বুধবারই মালদহের প্রাক্তন জেলে সভাপতি সঞ্জীব মিত্রকে (sanjib mitra) দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলার আর এক নেতা নিতাই মণ্ডলকেও (nitai mondol) বহিষ্কার করা হয়েছে একই অভিযোগে। হুগলিতে প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগকে (subir nag) সতর্ক করা হয়েছে। সুবীর বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বরের (tarakeswar) দায়িত্বে ছিলেন। এই কেন্দ্র থেকে ভোটে প্রার্থী ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত (swapan dasguapta)। ফলে এর পিছনে রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদের হাত দেখছেন অনেকেই। হুগলিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। দলের অভ্যন্তরে খবর, এর পিছনে নাকি সুবীরের হাত রয়েছে। শুধু এই জেলায় নয় উত্তরবঙ্গ থেকেও একই অভিযোগ তৈরি হচ্ছে।

আদি বিজেপি নেতারা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, সংগঠনটা আমরা তৈরি করছি, আর শাস্তিও আমরা কেন পাব? কেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajib Banerjee) প্রবীর ঘোষাল (prabir ghosal) বা সব্যসাচী দত্তদের (sabyasachi dutta) মতো দলবদলু নেতাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে? তারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছে, অথচ তাদের নূন্যতম সতর্ক পর্যন্ত করা হচ্ছে না। নতুনদের এই জামাই আদরের অর্থ কী? দলের মধ্যে এই স্পষ্ট বিভাজন কেন? দল যদি এই বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমাদের এবার মুখ খুলতেই হবে। আর সেটা দলের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না। রাজীব, প্রবীর বা সব্যসাচীর বিরুদ্ধে দলে অভিযোগ জমা পড়েছে, কিন্তু দল নিশ্চুপ। কেন?

জেলায় জেলায় এখন বিজেপিতে নব্য আদি লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই অভিযোগে ব্যতিব্যস্ত। তিনি চান আদিদের মর্যাদা দিতে। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, দিল্লির চাপে মাঝে মাঝে ‘অনৈতিক’ পদক্ষেপ (unethical decesion) করতে হচ্ছে। কিন্তু এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। আর তাঁর পথে পথিক দলের অধিকাংশ নেতা-নেত্রীরা বলছেন, এবার ‘জামাই’দের বিরুদ্ধে মুখ না খুললে নিজেদের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে।

ফলে আগ্নেয়গিরির উপর এখন ভোটে হেরে যাওয়া বিজেপির নিচুতলার সংগঠন।

 

Previous articleবিজেপি-র উপেক্ষা আর বীরবাহার পদক্ষেপ। কী পোস্ট করলেন কুণাল?
Next articleজ্বালানির দামে ছ্যাঁকা! কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রোল