মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

মালদহ জেলা পরিষদের অনাস্থা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মালদহ জেলা পরিষদের জেলা সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল।। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিজেপি নেতা গৌড় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন ২৩ জেলা পরিষদের সদস্যের। আগামী ৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তলবের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিকে তার আগেই চিঠির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মালদহের জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁর দাবি, অনাস্থা প্রস্তাবে কয়েকজন জেলা পরিষদের সই জাল করা হয়েছে। সদস্যদের স্বাক্ষরের পাশে তিনি কোন দলের সদস্য, তা লেখা হয়নি। এমনকি অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠিতে নিয়মকানুনও সঠিকভাব মানা হয়নি। তাছাড়াও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কী করে সভাধিপতির অপসারণ নিয়ে সভার দিন নির্দিষ্ট করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গৌড় চন্দ্র মণ্ডল। এপ্রসঙ্গে পালটা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তৃণমূলের রয়েছে। তাই বিজেপি আদালতে গেলেও তাদের এই মামলা ধোপে টিকবে না।

প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোটের আগে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গৌড় চন্দ্র মণ্ডল গত বিধানসভা নির্বাচনে মানিকচক বিধানসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিতও হন। কিন্তু সেখানে তিনি পরাজিত হন। রাজ্যে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যদের ফের পালাবদল শুরু হয়।  বিজেপিতে যাওয়া বেশ কয়েকজন জেলা পরিষদ সদস্য পুনরায় তৃণমূলে যোগ দেন। শুধু তাই নয় বিজেপির টিকিটে জেতা কয়েকজন সদস্যও তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের জেলা পরিষদের শক্তি আরও বাড়ে। এরপরই গৌড় চন্দ্র মণ্ডলকে সভাধিপতির পদ থেকে সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে তৃণমূল। গত ২৭ জুন মালদহের ডিভিশনাল কমিশনের কাছে ২৩ জন সদস্যের স্বাক্ষর-সহ গৌড় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়।

 

Previous articleজঙ্গলরাজ: মহিলাকে গাছে ঝুলিয়ে নৃশংস অত্যাচার মধ্যপ্রদেশে, ভাইরাল ভিডিও
Next articleবাড়ির বকেয়া ৮ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিলের ছবি ভাইরাল! বিড়ম্বনায় সিধু