সুপারফ্লপ বিজেপির পুরসভা ঘেরাও অভিযান , বেপাত্তা সৌমিত্র খাঁ

পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি ছিল জলকামান। ওয়াই চ্যানেলের কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। তৈরি রাখা হয়েছিল কুইক রেসপন্স টিমও। কোনও ভাবেই যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় তৎপর ছিল পুলিশ । তবে বিজেপির ঘোষিত কলকাতা পুরসভা ঘেরাও অভিযান কার্যত সুপারফ্লপ।
বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর গেরুয়া শিবিরের প্রথম প্রতিবাদ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে সফল হল পুলিশ।
রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে সে ভাবে কোনো প্রতিবাদ সংগঠিত করতে পারেনি বিজেপি। এ বার তারা হাতিয়ার করেছিল জাল টিকা-কাণ্ডকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই এ দিন পুরসভা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে পুলিশ এই অভিযানের অনুমতি দেয়নি।

সামনের সারিতে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য রাজ্য নেতারা। ছিল যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা । কিন্তু দেখা মেলেনি বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে যার মুখে ফুলঝুরি ছোটে, আসল সময়ে সেই তথাকথিত বঙ্গ বিজেপি নেতা কেন বেপাত্তা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । যদিও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাফাই করোনার কারণে স্থানীয় নেতাদের ওপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই অনেক নেতা ইচ্ছে থাকলেও আজকের এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ব্যারিকেড করে বিজেপি-র মিছিল আটকালো পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে সামান্য ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তার পরেই একটি বাস এনে আটক করা হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের। আটক করা হয় বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীকে।কিছুক্ষণ প্রতিবাদের পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্য দিকে মুরলীধর সেন লেনে পার্টি অফিসে ফিরে যান রাজ্য নেতারা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে যান চলাচল শুরু করে পুলিশ । সবমিলিয়ে যত গর্জে ছিল তত বর্ষালো না বিজেপি ।আরও একটা সুপারফ্লপ কর্মসূচির সাক্ষী থাকল শহর।

Previous articleকোউইনে ৩৫ কোটি ডোজ টিকার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, প্রযুক্তির সাফল্য ব্যাখ্যা মোদির
Next articleবাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ কি ফের তৃণমূলের পথেই?