সৌমিত্রকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু, এবার যুবমোর্চার দায়িত্বে শুভেন্দু বা দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতা

বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election) ভরাডুবির পর রাজ্য বিজেপিতে (BJP) ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা। দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে শাখা সংগঠনগুলির নেতৃত্বে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে। এখানেও আবার লবি। বিজেপিতে রদবদলে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary) ঘনিষ্ঠ এক তারকার উত্থান হতে চলেছে বলে খবর। তিনি আবার প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করেছেন। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) শিবির বিষয়টিকে তির্যক দৃষ্টিতে দেখছে।

বিজেপি সূত্রে খাবে, আপাতত মূল সংগঠনে বড় কোনও রদবদল না হলেও শাখা সংগঠনে কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। দলের মূল দুই গুরুত্বপূর্ণ শাখা সংগঠন মহিলা মোর্চা এবং যুব মোর্চা। মহিলা মোর্চার মাথায় রয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) এবং যুবমোর্চার (BJYM) দায়িত্বে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। আপাতত, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বদল হচ্ছে না বলেই জানা গেলেও যুবমোর্চার নেতৃত্ব বদলের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

দলকে মাঝে মধ্যেই বিড়ম্বনায় ফেলা সৌমিত্র খাঁ-কে যুবমোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর জায়গায় যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে, তিনি হলেন অশোক দিন্দা (Ashok Dinda)। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জিতেছেন। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার নব নির্বাচিত বিধায়ক অশোক দিন্দা খুব জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন। বিজেপির তারকা বিধায়কদের মধ্যে তিনি উপরের সারিতেই রয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলে যোগ দেওয়া অশোক দিন্দা জানিয়ে ছিলেন ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি এখন অনেকটা সময় হাতে পাচ্ছেন। এবং সেই সময় দলের জন্য দিতে চান। দল যেভাবে কাজে লাগবে, তিনি সেভাবে কাজ করবেন। তাই রাজ্য বিজেপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন, প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে দিন্দার পরিচিতি যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে।

তবে রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দিন্দাকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিবির মেনে নেবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ শিবিরের পছন্দ পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষকে (Biman Ghosh)। একটা সময় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা আরামবাগের যুবমোর্চা সামলেছেন বিমান। তিনি ছিলেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক। এর পরে তিনি ওই জেলাতেই বিজেপির সভাপতি হন। যুব শাখা ও মূল দলের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা বিধায়ক বিমান কাজে লাগাতে পারবেন বলেই দাবি রাজ্য বিজেপির একটি প্রভাবশালী অংশের।

উল্লেখ্য, গত বুধবার কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা রদবদলের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটান সৌমিত্র। তাঁর নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করে। সৌমিত্র। এবং কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষের নির্দেশে ইস্তফা ফিরিয়েও নেন সৌমিত্র। তবে তার আগে থেকেই সৌমিত্রকে সরানোর আলোচনা দলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সৌমিত্রকে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে নিয়ে এসে কোনও পদ দেওয়া হতে পারে। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী দিনে সৌমিত্রকে একজন রাজ্য সম্পাদক করা হতে পারে। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে-পড়া সৌমিত্রকে নিয়ে অসন্তুষ্ট শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন:বঙ্গভঙ্গ: দাবিতে অনড় বার্লা, কেন্দ্রে নালিশ জানাবেন দিলীপ!

 

Previous articleদায়িত্বে এসেই নয়া নিয়ম রেলমন্ত্রী বৈষ্ণবের, ২ শিফটে কাজ চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত
Next articleভাতারে বোমা বিস্ফোরণ, ভেঙে পড়ল বাড়ি, জখম ৩