সীমাহীন সুবিধাবাদী: কুণালের বিস্ফোরক টুইটের লক্ষ্য কে?

PAC চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) নাম ঘোষণা হতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করার পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) জানিয়ে দেন, বিধানসভার কোনও কমিটিতেই চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না বিজেপি (BJP) বিধায়করা।  কিন্তু নিজে কোনও পদ থেকে ইস্তফা দেননি শুভেন্দু। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের (Tmc) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন,

“LOP=limitless opportunist. সস্তা রাজনীতির জন্য bjpর কয়েকজনকে বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য করা হল। আর তুমি নিজে পদ আঁকড়ে বসে। প্রতিবাদের দম থাকলে নতুন বিধায়কদের বঞ্চিত না করে নিজে ইস্তফা দিলে বুঝতাম!! সপরিবারে শুধু নিতে জানে। ওর রাজনীতির জন্য ত্যাগ করবে অন্যেরা।”

নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী তখনই তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যা দেওয়া হয়। সপরিবারে সমস্ত রকম দলীয় পদের সুবিধা ভোগ করার পরে 2021-এর নির্বাচনে রাজনৈতিক পালাবদল হবে এই আশায় তিনি পদ্ম শিবিরে নাম লেখান বলে অভিযোগ। তৃণমূলে থাকার সময়ও অধিকারী পরিবারের রাজনীতিতে থাকা সব সদস্যই একাধিক ক্ষমতাসীন পদে ছিলেন। যে তৃণমূলনেত্রী তাঁদের সেই পদে বসান, দল ছাড়ার পরে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি নিশানা করেছেন বিজেপি বিধায়ক।

নতুন দলে গিয়েও তিনি নিজের ক্ষমতা এবং পদ ধরে রাখতে সচেষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে শুভেন্দুর নাম না করে তাঁকে ধুয়ে দেন। তিনি লেখেন, যদি বিরোধী দলনেতা দম থাকত, তাহলে নতুন বিধায়কদের না সরিয়ে তিনি নিজের পদে ইস্তফা দিতেন। কিন্তু তাঁর রাজনীতির রাস্তা মসৃণ করার জন্য তিনি অন্যের বলিদান পছন্দ করেন। যদিও এক্ষেত্রে কারও নাম বা পদ উল্লেখ করেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তবে, রাজ্য রাজনীতিতে ‘সপরিবারে সুবিধা নেওয়ার’ দৃষ্টান্ত অধিকারী পরিবারেই আছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

 

Previous articleসংক্রমণ কমলেও করোনায় দেশে হাজারের গণ্ডি পার মৃতের সংখ্যা
Next articleকোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান দখলের লড়াইয়ে দুরন্ত জয় পেল কলম্বিয়া