কলকাতার বাসিন্দা পাকিস্তানি মহিলাকে ভ্যাকসিন দিলো না বেসরকারি হাসপাতাল

তিনি ৭বছর ধরে কলকাতার বাসিন্দা। বিবাহসূত্রেই এই শহরে বাস তাঁর। যদিও ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও নথি নেই তাঁর কাছে। তাই করোনা ভ্যাকসিনও পেলেন না তিনি।
শাহার কাইজার। বিয়ের পর থেকে ৭ বছর কলকাতায় রয়েছেন তিনি। তবে অবৈধ বাসিন্দা নন। বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর কাছে। আর সেই পাসপোর্ট দেখিয়েই বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন ওই পাকিস্তানি মহিলা। টাকাও জমা করেছিলেন। কোউইনে স্লট বুকিংও করেছিলেন। কিন্তু আধার না থাকায় ভ্যাকসিন পেলেন না শাহার কাইজার।

ঠিক কী ঘটেছিল?

গত, শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে স্লট বুকিং করেন শাহার। এরপর ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে যান তিনি। কিন্তু হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়। প্রায় ২ঘন্টা অপেক্ষা করানোর পর শাহারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আধার কার্ড না থাকায় তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য ভবনের কথাতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে শাহারের দাবি, রেজিস্ট্রেশনের সময় বৈধ নথি হিসেবে পাসপোর্ট-এর উল্লেখ আছে। অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট বৈধ নয়, এরকম কোনও উল্লেখ নেই। এরপর রবিবার ফের কোউইনে নাম নথিভুক্ত করেন শাহার। গতকাল, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার স্লটে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্লট বুকিং করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও আধার কার্ড না থাকায় ভ্যাকসিন পাননি শাহার।

এরপরই প্রশ্ন তোলেন ওই পাকিস্তানি মহিলা। তাঁর কথায়,
সাত বছর ধরে কলকাতায় বিবাহসূত্রে রয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আধার কার্ড না থাকার কারণেই ভ্যাকসিন নেওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন। তাঁর দুটো সন্তান আছে। বিদেশি নাগরিক হলে কি টিকা মিলবে না? তাঁকে যদি অন্য কোনও দেশে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে টিকা না নিয়ে তিনি কী করে যাবেন?

 

Previous articleকভেন্ট্রি সিটি এফসি-তে সই করলেন ব্রাইট
Next article“দিদি ও দিদি”-র জবাবে এবার “মোদি ও মোদি” স্লোগান, ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল