রাজভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর, কী কথা দুজনের?

বিধানসভা অধিবেশনে বিভিন্ন ইস্যুতে গোলমাল বাধিয়ে সভার কাজ পন্ড করতে চাইছে বিরোধীরা- অভিযোগ শাসকদলের। এই চাপান-উতোর এর মধ্যেই বুধবার বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সূত্রের খবর, বিধান পরিষদ (Legislative Assembly) থেকে বাজেট (Budget), পিএসি (PAC)-এর চেয়ারম্যান নিয়োগ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েই জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar)সঙ্গে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার, বিকেলে নবান্ন (Nabanna) থেকে সরাসরি রাজভবনের যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলেন। প্রথমে মমতাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনাও জানান ধনকড়। ছিলেন রাজ্যপালে স্ত্রী। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল এ সেসব ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন।

ছবি-ভিডিও পোস্ট করলেও মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে তাঁর কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা অবশ্য জানাননি রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্যের বিধান পরিষদ গঠন নিয়েই মূলত দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টিও। কারণ, এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবারই ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি বিধায়করা। এছাড়া বাজেট নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এরমধ্যে বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ, বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালে সইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ রাজ্যপাল সই করার পরে এই বিল অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক, লোকসভা, রাজ্যসভা এবং সব শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে৷ রাষ্ট্রপতি সই করলে বিধান পরিষদের প্রস্তাব আইনে পরিণত হবে।

বিধান পরিষদ গঠনের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি৷ কেন রাজ্য সরকার বিধান পরিষদ গঠন করতে চাইছে, সে বিষয়ে রাজ্যপালকে এদিন ব্যাখ্যা করতে পারেন মমতা৷

এছাড়া বাজেট পেশের দিনও বিজেপি-র তীব্র হই হট্টগোলের মধ্যে নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ পাঠ করতে পারেননি রাজ্যপাল৷ বিভিন্ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ নিয়েও রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টিতেও রাজ্যের সরকার যেকোনো আইনবিরুদ্ধ কাজ করেনি-সে বিষয়েও রাজ্যপালকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে বিধানসভায় বিরোধীদের ভূমিকা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, বারবারই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে দেখা যায়। বিধানসভার অধিবেশনে তাঁদের আচরণের জন্য সভার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- 30 জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বহাল বিধিনিষেধ, একনজরে নয়া নির্দেশিকা

 

Previous articleতৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই প্রতিটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন 
Next articleবিয়ের মরশুমের মাঝেই কলকাতায় ফের বাড়ল সোনার দাম