শহর জুড়ে ভেজাল পোস্তর রমরমা, মেশানো হচ্ছে ভাজা সুজি, পাখির খাবার!

অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে বাঙালির প্রিয় পোস্তর দাম সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। কারণ,পোস্ত এখন বলা যেতে পারে সোনার মতোই দামি।  বর্তমানে   পোস্তর কেজি ২ হাজার আবার কোথাও ২হাজার ২০০ টাকা ।স্বাভাবিক ভাবেই কার্যত লকডাউনের বাজারে হেঁসেলে পোস্তর প্রবেশ শেষ কবে হয়েছিল, তা বলতে রীতিমতো চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে । কিন্তু মুষ্টিমেয় যারা এত দাম দিয়ে পোস্ত কিনছেন, তারা কী সত্যিই সঠিক পোস্ত হাতে পাচ্ছেন ? সাম্প্রতিক একটি অভিযান কিন্তু অন্য কথা বলছে। পোস্তর কালোবাজারি এই শহরেই যে জায়গায় পৌঁছেছে তা জানলে আপনিও অবাক হবেন ।
বড়বাজারের পোস্তা এলাকায় গোডাউনে চলছিল ভেজাল পোস্তর রমরমা কারবার ৷ গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই বুধবার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সেখানে হানা দেয় ৷ সেখানেই মেলে ভেজাল পোস্তর হদিশ। পুলিশের অনুমান এই চক্র, পোস্তর সঙ্গে এই ধরণের পদার্থ মিশিয়ে সেগুলো নামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে ভরে সেগুলি চালান করত বাজারে৷

এছাড়াও নামি-দামী ব্র্যান্ডের প্যাকেট ও সিল করার মেশিন ও উদ্ধার করা হয়েছে ৷
অথচ গ্রাহকের চোখে ধুলো দিতে পোস্তর প্যাকেটের বাইরে লেখা ‘নকল হইতে সাবধান’। কিন্তু প্যাকেটের ভিতরে যে পোস্ত রয়েছে তার অর্ধেকের বেশিই ভেজাল। অর্থাৎ পোস্তর সঙ্গে মেশানো রয়েছে ভাজা সুজি, পাখির খাবার।

এই ভেজাল পোস্তর রমরমা এখন শহর ও শহরতলিতে ।
জানা গিয়েছে, পোস্ততে ভেজাল মেশানোর পর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে পাইকারি ও খুচরো বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ।

এবার পাকেজিংয়ের পালা। ভেজাল পোস্ত তৈরির পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্যাকেটে ভরে নেওয়া হচ্ছে । এরকম ছোট ছোট প্যাকেটে ভরার পর বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে । প্রত্যেক প্যাকেটের উপরেই লেখা ‘নকল হইতে সাবধান’।

আসলে সুজির থেকেও কম দাম পাখির দানা খাবারের। তাই পোস্তর সঙ্গে সুজি ও পাখির খাবার মেশানো হচ্ছে ।
ইবি সূত্রে খবর, ভেজাল পোস্ত তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে ৭৫ কেজি ভেজাল পোস্ত, ১০০ কেজি পাখির খাবার, ২০০ কেজি সুজি, ৩০০ কেজি পোস্ত দানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মিলেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেট ও প্যাকেজিং মেশিন। বাজেয়াপ্ত করা ভেজাল পোস্ত পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।

 

 
Previous articleমোর্চা ছাড়লেন, এবার কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিনয় তামাং
Next articleকরোনার থাবা টোকিও অলিম্পিক্সে, কোভিডে আক্রান্ত হোটেলের সাতজন কর্মী