দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট সুদীপরা, দ্রুত ভোট চান মমতাও

রাজ্যে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন দ্রুত করার দাবি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের বৈঠক সন্তোষজনক। সাড়ে চারটে থেকে প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় বৈঠক এরপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তৃণমূলের (Tmc) প্রতিনিধিরা।

রাজ্যে যখন অষ্টমদফা বিধানসভা নির্বাচন চলছিল তখন করোনা আক্রান্তের হার ছিল 33 শতাংশের বেশি। আর এখন সেটা দুই শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে সেই তথ্য তুলে দেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brian), সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendushekhar Ray), সৌগত রায় (Sougata Ray), সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandopadhyay), কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Bandopadhyay)। কম সময়ের মধ্যেই তাঁরা উপনির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে পারবেন বলেও জানান। প্রচারের জন্য সাতদিন দিলেই হবে বলেও জানানো হয়।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছ-মাসের মধ্যে করতে হবে। এখন কোভিড পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের আবেদন শুনেছে নির্বাচন কমিশন। এই বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা যথেষ্ট সদর্থক। সব দিক খতিয়ে দেখে শীঘ্রই কমিশন মতামত জানাবে বলে জানিয়েছে।

a

এদিকে, এর আগে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) জানিয়েছিলেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। “ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ডই এখন কোভিডমুক্ত।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, সাতটি আসনেই উপনির্বাচন করানো উচিত। দ্রুত নির্বাচন করিয়ে দিক কমিশন। এর আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যসভা ভোট করানো নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত চেয়েছিল। তখন সরকারের তরফে তাদের জানানো হয়, রাজ্যসভা তো বটেই, সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচনও (By-election)করানো সম্ভব। এদিন একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার মতে, সংবিধান অনুযায়ী, ভোটের ফল প্রকাশের ছমাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। ফলে তাঁরা অসাংবিধানিক কিছু চাইছেন না। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি জানে, ওরা প্রতিটায় হারবে। তাই ওরা ভোট চাইছে না।’’

 

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়। ফল প্রকাশের আগেই মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সরকারে। ফল প্রকাশের পর বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ছাড়েন। এদিকে ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দেন জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

 

Previous articleস্বপ্নের দৌড়, ৫৩ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে নয়া রেকর্ড শেয়ার বাজারের
Next articleমহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিডিওকে গণপিটুনি গ্রামবাসীদের