৪০ বছর ধরে বেদখল বাস্তু জমি মাত্র সাতদিনে মুক্ত করলেন বিচারক। তাও ‘দুয়ারে’ গিয়ে। এমনকি গ্রামে গিয়ে সেই জমি আসল মালিকের হাতেও তুলে দিলেন বিচারক। সম্পত্তির মালিক, বৃদ্ধা গৌরী নায়েকের চোখ ছলছল করে উঠল। বৃদ্ধা জানালেন, ‘জন্মেও ভাবিনি জমি ফেরত পাব।’ এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন জামবনি ব্লকের ইটামার গ্রামের গ্রামবাসীরা।

ইটামারো গ্রামের বাসিন্দা গৌরী নায়েক ও অনিল বেরার বাড়ি পাশাপাশি। গত ৪০ বছর ধরে গৌরী দেবীর বাস্তু জমির কিছুটা অংশ দখল করে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলেন লুলু ওরফে অনিল বেরা। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। লুলু তাতে কর্নপাত পর্যন্ত করেননি। উল্টে গৌরীর পাশের জমিতে লুলু সরকারি বাড়িও বানাতে শুরু করেছিলেন। এইসময়ই গৌরী বিনামূল্যে আইনি পরিষেবার কথা জানতে পারেন। গত ৮ জুলাই লিখিতভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মাকে জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রি–লিটিগেশন মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি জামবনি ব্লকের বিএলআরও’র কাছে ওই জমি সংক্রান্ত রির্পোট তলব করেন বিচারক। ১৩ জুলাই রির্পোট পাওয়ার পর আজ ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মা গ্রামে গিয়ে দু’পক্ষকে ডেকে সমস্যার সমাধান করেন। এরপরই জমি ফেরত পান গৌরী নায়েক।

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মা বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল দু’পক্ষের মধ্যে। ৩ ফুট চওড়া ৪০ ফুট লম্বা জায়গা দখল করে রাখা হয়েছিল। আজকে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গৌরী নায়েকের জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
