শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে এবার CID-র নজরে চিকিৎসক

বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে এবার সিআইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় মৃত শুভব্রত চক্রবর্তীকে দেখা চিকিৎসকও। সূত্রের খবর, জেরা করা হবে যিনি গুলিবিদ্ধ হওয়া শুভব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নিরাপত্তারক্ষীকেও। এদিকে সিআইডি আধিকারিকরা ঘনঘন যাচ্ছেন অধিকারী বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর সামনে। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর ঠিক উল্টোদিকে অবস্থিত বাড়িটিতে যায় সিআইডি।

শুভেন্দুর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকের বাড়িটিতেই থাকেন তাঁর দেহরক্ষীরা। ওই আবাসস্থলের ভিডিয়োগ্রাফিও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে দু’দফায় কাঁথিতে বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকার জায়গা ঘুরে দেখেন সিআইডি আধিকারিকরা৷

উল্লেখ্য, ৭ জুলাই শুভেন্দু অধিকারীর ( Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন সুপর্ণা। সুপর্ণার অভিযোগ, কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকেন শুভব্রত। গুলিবিদ্ধ শুভব্রত চক্রবর্তী ১৪/১০/২০১৮-য় ৫টা নাগাদ মারা যান। সুপর্ণার অভিযোগ, প্রথম থেকেই তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁর মনে সন্দেহ ছিল। তিনি কখনই এর উত্তর পেলেন না চিকিৎসার জন্য তাঁর স্বামীকে কলকাতায় স্থানান্তর কারণে কেন দেরি হল?

আরও পড়ুন-কংগ্রেসের সংসদীয় দলে বড় রদবদল, কমিটিতে জায়গা পেলেন বিদ্রোহীরাও

সুপর্ণা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ১৩/১০/২০১৮-তে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা সত্ত্বেও তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হলেন। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীর অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল কেন? প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আমফানের ত্রাণের ত্রিপল চুরির অভিযোগে শুভেন্দুর নামে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের হয়।

তবে, প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্ত নিয়ে শুভেন্দু যে একেবারেই বিচলিত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। শনিবারই নন্দীগ্রামে একটি দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আমি এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না৷ ২ বছর ৮ মাস আগে কে আত্মহত্যা করেছে, তা নিয়ে এখন তদন্ত করছে।” তিনি বলেছেন, “আমাকে সিআইডি দেখিয়ে লাভ নেই৷ আমার বাড়িতে ৮০ বছরের বৃদ্ধ পিতা, ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মা থাকেন৷ তাঁরা কেমন আছেন, দেখার জন্য সিআইডি পাঠিয়েছিল৷” শুভেন্দু বলেন,”আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷ নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আপনারা আমার ভূমিকা দেখেছেন৷’

 

Previous articleজ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-মহিলা সংরক্ষণ বিল: সংসদের দুই কক্ষের ঝড় তুলতে চলেছে তৃণমূল
Next articleটিটাগড়ে চটকল শ্রমিকদের রক্তদান শিবির