গভীর রাতে টানা দু’দিন এমএলএ হস্টেলে গোপন বৈঠক, ২১শেই ভাঙছে ত্রিপুরা-সরকার!

সুদীপ রায় বর্মন, বিপ্লব দেব

২১শেই ধস নামছে ত্রিপুরা সরকারে (tripura government)? ভেঙে যাচ্ছে বিজেপি (bjp)? সংখ্যালঘু (minority) হয়ে পড়ছে বিপ্লব দেবের সরকার? বিজেপির ওষুধেই বিজেপিকে বধ করে ত্রিপুরায় (Tripura) পট পরিবর্তনের সম্ভাবনা? এইসব প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। টানা দুদিন গভীর রাতে এমএলএ হস্টেলে (agartwala mla hostel) বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক বিজেপির প্যালপিটিশন বাড়িয়ে দিয়েছে। শহিদ দিবসকে সামনে রেখে ৩৫ লক্ষর রাজ্য ত্রিপুরায় যে কিছু একটা ওলট-পালটের সম্ভাবনা রয়েছে, তার নানা ইঙ্গিত রাজ্য জুড়ে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (tripura cm biplab deb) বিরুদ্ধে বিধায়কদের মধ্যেই বিদ্রোহের আগুন। নেতৃত্বে অবশ্যই সুদীপ রায় বর্মন (sudip roy baan), রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আভাস পেয়ে বিধায়করা দিল্লি গিয়ে সভাপতি জেপি নাড্ডার (j p nadda) সঙ্গ বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, বরফ তা সত্ত্বেও না গলায়, বিজেপি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে বিপ্লব-সুদীপকে মুখোমুখি বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে যে চিড়ে ভেজেনি, তা বেশ বোঝা যায় শুক্র ও শনিবার গভীর রাতে সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে এমএলএ হস্টেলে ‘গোপন বৈঠকের’ খবরে।

                           এমএলএ হস্টেল

আরও পড়ুন-মোদির দুর্বলতা কী? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

একটি সূত্র বলছে, এই বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে (tmc) আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। বিদ্রোহীদের নেতা সুদীপ রায় বর্মন (sudip roy barman)। ত্রিপুরার বিগত নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস (conggress) থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে টিএমসি ছেড়ে বিজেপিতে। কিন্তু সরকার গড়ার পরেই বিপ্লব-সুদীপ লড়াই শুরু হয়। ক্ষোভে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন সুদীপ রায় বর্মন। নিজের নামে একটি সংগঠনও তৈরি করেন। দরকার ছিল রাজনৈতিক সমর্থন। সেটা মিলতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। ২১ জুলাই (21 july) যত এগিয়ে আসছে, ততই সুদীপ ও তার ঘনিষ্ঠদের ব্যস্ততা বাড়ায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন। পাশা উলটে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনার কথা অনেক নেতৃত্বই উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

অন্যদিকে বিজেপি সরকারের মরার উপর খাঁড়ার ঘা, শরিক আইপিএফটির (IPFT) বিধায়ক বৃষকেতু বর্মন (mla brishaketu burman) দল ছেড়েছেন। তিনি সদ্য তৈরি উপজাতি দল তিপ্রা মাথায় (tipra matha) যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভার স্পিকার বৃষকেতুর বিধায়ক পদ বাতিল করার কোনও উদ্যোগ নেননি। তিপ্রা মাথা সম্প্রতি উপজাতি ভোটে বিজেপি-আইপিএফটি জোটকে ধরাশায়ী করায় বিরোধীরা ক্রমশ উৎসাহিত হয়ে পড়েছে। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের ( ex cm sachindralal sinha) পুত্র আশিসলাল সিংহ (ashis lal sinha) তৃণমূলের পক্ষে জোরদার ব্যাট করছেন।

রাজ্য জুড়ে ২১শে জুলাই মানুষ তৃণমূল সুপ্রিমোর (trinamool supremo) ভাষণ শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিদ্রোহীরা মুখ খোলেননি। আর তাতেই শাসকমহলে চাপা টেনশন। বিজেপির ব্যবহৃত ওষুধে বিজেপিই ব্যতিব্যস্ত।

 

Previous articleমোদির দুর্বলতা কী? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
Next articleসাধন পাণ্ডের শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক, দ্রুত আরোগ্য কামনা কুণালের