অধীর গড়ে কংগ্রেসে ব্যাপক ধস, দলে দলে যোগ তৃণমূলে

বাম (Left front) ও আব্বাসের দল ISF-এর সঙ্গে জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে (West.Bengal Assembly Election) লড়েছিল রাজ্যের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি কংগ্রেস (Congress)। এবং ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের কোনও সদস্য নেই। ভোটের আগে শিবরাত্রির সলতের মতো জ্বলতে থাকা মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) তথা বহরমপুরেও (Baharampur) গো-হারা কংগ্রেস।

 

এবার সেই অধীর চৌধুরির (Adhir Chowdhury) গড় বহরমপুরে কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির খাসতালুক বলে পরিচিত বহরমপুরে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে নেতা-কর্মীরা যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করলেন বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহা ও প্রাক্তন বহরমপুর (পূর্ব ) ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আশিস দে। বহরমপুর গ্রান্ট হল ময়দানে কার্তিক চন্দ্র সাহা ও আশীষ দের নেতৃত্বে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে শাসক দলের দলীয় পতাকা তুলে নেন কয়েকশো কংগ্রেস নেতা-কর্মী। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক দাস, বহরমপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা ও কর্মী সমর্থকরা।

 

অধীর চৌধুরী-মনোজ চক্রবর্তীদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নাড়ুগোপালবাবু বলেন, ”যাঁদের নিয়ে কংগ্রেস এতদিন অহংকার করত, যাঁদের দৌলতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরী বহরমপুরে জিতেছিল, সেই সমস্ত নেতাদের অধীর চৌধুরিরা সম্মান, মর্যাদা দেয়নি। তাঁরা সকলেই বুঝে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র বিকল্প।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কৌশল মানুষের জন্য কাজ করার পক্ষে আদর্শ। তাই মানুষের উন্নয়নের স্বার্থেই সকলে কংগ্রেস দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।”

 

একইসঙ্গেই নাড়ুগোপালবাবু কটাক্ষের সুরে বলেন, মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরে কংগ্রেস দলটাই উঠে যাবে। এরপর থেকে বহরমপুরের শুধুমাত্র কংগ্রেস পার্টি অফিস পড়ে থাকবে। সেখানে বসার জন্য কোনও কংগ্রেস কর্মী সমর্থক থাকবে না। অধীর চৌধুরী একাই ঝান্ডা ধরে বসে থাকবেন।

 

 

Previous article৬টি বিষয়ে আলোচনা চেয়ে সংসদে পরপর নোটিশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস
Next article২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে তৈরি ত্রিপুরাও