কোভিড নিয়ম মেনেই উল্টোরথ পালন করা হচ্ছে পুরীতে

আজ মঙ্গলবার উল্টোরথ। মাসির বাড়িতে সাত দিন থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা নিজের বাড়ি জগন্নাথ মন্দিরে ফিরবেন। কোভিড নিয়ম মেনেই উল্টোরথ পালন করা হচ্ছে পুরীতে। শুধু সেবায়েত ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়া
আর কেউ জমায়েতে অংশ নিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার সকাল সকাল প্রথমে বলরাম, তারপর সুভদ্রা ও সবশেষে জগন্নাথ এবং মদনমোহন রথে
ওঠেন। রীতি মেনে সকাল সাড়ে দশটার মধ্যেই একে একে তিন বিগ্রহকে তোলা হয় রথের উপর। বিকেলের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে যাবে ৩টি রথ।
রথের দিন বেশ কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। ঠিক একই ভাবে নিয়ম মেনে পালন হচ্ছে উল্টোরথ। জগন্নাথ মন্দিরে ফেরার পর জগন্নাথ,
বলরাম ও সুভদ্রা নিজেদের রথের ওপরেই থাকবেন।

২১ জুলাই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হবে। একে সোনার বেশ বলে।

এরপর ২২ জুলাই জগন্নাথ দেবের নীলাদ্রি বীজে হয়। রথ থেকে নেবে প্রথমে বলরাম তারপরে সুভদ্রা মন্দিরে প্রবেশ করলেও জগন্নাথদেব যখন মন্দিরে প্রবেশ করতে যান সেইসময় মা লক্ষ্মী রাগের বশে জগন্নাথ দেবকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেন না। মূল দরজা বন্ধ করে দেন। কারণ, লক্ষ্মী দেবীর রাগ হয়। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কিছুদিনের জন্য মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাননি। তাই মাসির বাড়ি থেকে ফেরার সময় জগন্নাথদেব এক হাঁড়ি গরম রসগোল্লা নিয়ে আসেন। সেটি মা লক্ষ্ণীকে দেন ও পুজো করা হয় তাঁকে। মান ভঙ্গ হলে তবেই জগন্নাথ দেবকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এরপর ফের এক বছরের অপেক্ষা। ফের এক বছর পর জগন্নাথদেব ভক্তদের সামনে দিয়ে যাবেন মাসির বাড়ি।  ভক্তদের প্রার্থনা একটাই, এই এক বছরের মধ্যে গোটা দেশ যেন করোনা মুক্ত হয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।

আরও পড়ুন- দেশের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার কম, সংসদে দেওয়া শ্রম মন্ত্রকের রিপোর্ট প্রকাশ

 

Previous articleদেশের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার কম, সংসদে দেওয়া শ্রম মন্ত্রকের রিপোর্ট প্রকাশ
Next article“সীমাহীন সুবিধাবাদী, আগে গ্রেফতার করা হোক”: নাম না করে শুভেন্দুকে তুলোধনা কুণালের