একুশে জুলাই মমতার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রশংসায় মুখর ছাত্রসমাজ

ছাত্র-যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই যখন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শক্তি ছাত্ররা। ছাত্র রাজনীতি থেকে উত্থান হয়েছে তাবড় নেতা নেত্রীর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। এদিন তাই একুশে জুলাই দলনেত্রী বক্তব্য শোনার জন্য মুখিয়ে ছিলেন এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা।

এদিন আশুতোষ কলেজে দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তত্ত্বাবধানে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে দলনেত্রীর বক্তব্য দেখার ও শোনার হয়। অন্য বছর হলে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে ধর্ম তলায় একুশে জুলাই এর মঞ্চে সামনে ভিড় করতেন। কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরও করোনা মহামারীতে ভার্চুয়াল সমাবেশ উপভোগ করলেন পড়ুয়ারা। এদিন সকাল থেকেই নেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। আশুতোষ কলেজের অডিটোরিয়ামে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

এদিন মমতার ভাষণ শেষ হওয়ার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বলেন, “এদিন নেত্রীর ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে আগামী দিনে আমরা দেশজুড়ে লড়াইয়ের শপথ নিলাম। যে কোনও পরিস্থিতিতে ছাত্রসমাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবে। একুশে বাংলা দখল হয়েছে, চব্বিশে দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপি দলকে উৎখাত করে সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর শপথ নিলাম আমরা। একইসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে তাঁর দেখানো পথেই চলবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।”

আরও পড়ুন- উন্নততর তৃণমূল গঠনের ডাক: করোনা মিটলে ব্রিগেডে বড় সমাবেশ, ঘোষণা মমতার

এদিন ছাত্রীদের মধ্যেও যথেষ্ট উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। ছাত্রীদের সকলের বক্তব্য, “বাংলা একুশের ভোটে বাংলা নিজের মেয়েকে চেয়েছে। আর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে গোটা গোটা দেশ বাংলার মেয়েকে চাইছে। বাংলা আজ যেটা ভাবে, গোটা দেশ আগামীতে সেটা ভাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের তা প্রমান করে দিয়েছেন।”

এরপরই ছাত্রীদের মধ্যে থেকে সকলে একসঙ্গে বলে ওঠেন, “কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আর কোনও রাজ্যে নেই। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পগুলি আগামী দিনে শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের কাছে মডেল হবে। এবং আজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আগামীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশজুড়ে মহিলাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন এই পরিষেবা। এটাই আমরা বিশ্বাস করি। এবং দিল্লি দখলের লড়াইয়ে দেশের ছাত্রসমাজ, ছাত্রীসমাজ সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।”

আরও পড়ুন- জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়: পেগাসাস নিয়ে ২৮ জুলাই সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ডাক শশীর