“পাশে আছি সাধ্যমতো”, নাগরিক সেবায় মানুষের পাশে কলকাতা পুলিশ

ঘটনা ১: বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ জয় হিন্দ সেতুর কাছে ডিউটিতে ছিলেন সাউথ ওয়েস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের(south west traffic guard) ওসি ইন্সপেক্টর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সার্জেন্ট অর্ণব সেতুয়া। খবর এল, সঙ্কটাপন্ন এক রুগিকে হাসপাতালে(Hospital) নিয়ে যাওয়ার পথে সেতুর উপর বিকল হয়ে গিয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স(ambulance)।

তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দুজনে, কিন্তু সত্তোরোর্ধ রুগির অবস্থা তখন এতটাই সঙ্কটজনক যে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মহেশতলার একটি হাসপাতালের একটি ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে । প্রয়োজন ছিল তেমনই একটি অ্যাম্বুলেন্সের। আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করা যাবে না বুঝে দ্রুত আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করেন তাঁরা।

সবরকম তৎপরতা সত্ত্বেও ইতিমধ্যে পার হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু সময়, যার সমাধান স্বরূপ টি আই মহেশতলার সঙ্গে সমন্বয়ে দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন ইনস্পেকটর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুলেন্স, এবং ওই রুগি আপাতত চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বিতর্কিত ভবনে মহিলাদের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হলো

ঘটনা ২, ইনস্পেক্টর পল্লব হালদার , বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের ওসি, শুক্রবার সকালে গার্ড এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সকাল ১১টা নাগাদ ইএম বাইপাস ও এনএম রোড ক্রসিং-এ কর্তব্যরত কনস্টেবল পলাশ কুমার দাম তার কাছে একটি বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে আসেন এবং জানান তিনি বাচ্চা মেয়েটিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় তাকে ট্রাফিক কিয়স্কে বসান। ইনস্পেক্টর পল্লব হালদার বাচ্চা মেয়েটিকে সঙ্গে করে ট্রাফিক গার্ডে নিয়ে আসেন । অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও মেয়েটি তার বাড়ির ঠিকানা মনে করতে পারেনি। শুধু জানা যায় যে তার বয়স ১১ বছর, সে তার দিদির সঙ্গে গত রাতে এসেছিলো, কিন্তু সেই দিদি তাকে ফেলে রেখে রাতেই চলে যায় । বাচ্চাটিকে ফুলবাগান থানার হাতে তুলে দেন পল্লববাবু। বাচ্চাটিকে তার অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ফুলবাগান থানার তরফে। ঠিক এভাবেই শহরের রাস্তায় মানুষের স্বার্থে মানবিক ছবি তুলে ধরছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এহেন মানবিক উদ্যোগের নাম রাখা হয়েছে “পাশে আছি সাধ্যমতো”।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস