বাবুলের মানভঞ্জনে আসরে এবার নাড্ডা-শাহ, ফোন প্রাক্তন মন্ত্রীকে

বাবুলের ‘আলবিদা’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতির জলঘোলা হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। গোটা ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল(TMC)। এসব কিছুর মাঝেই এবার ইস্তফা দিতে উদ্যত হওয়া আসানসোলের(Asansol) সাংসদকে থামাতে ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। শনিবার রাতেই বাবুলকে ফোন করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP nadda)। এমনকি বাবুলকে(Babul Supriyo) থামাতে আসরে নেমেছেন খোদ অমিত শাহও। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনটাই।

বিজেপি সূত্রের খবর, ফেসবুকে বাবুলের ইস্তফার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার রাতেই বাবুল সুপ্রিয়কে ফোনে ধরেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দীর্ঘক্ষন ফোনে কথা হয় দুজনের। জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাবুলকে বারবার অনুরোধ করেছেন ইস্তফা না দেওয়ার জন্য। এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য। খোদ অমিত শাহ নিজেও বাবুলকে ফোন করে ইস্তফার না দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন বলে জানা যাচ্ছে। শীর্ষ নেতাদের অনুরোধে বাবুল ফের বিজেপিতে সক্রিয় হবেন নাকি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:“নাটক ধরা পড়ায় ওর কষ্ট!” বাবুলের আক্রমণের পাল্টা জবাব কুণালের

এদিকে রবিবার বাবুল প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন বিজেপির নেতা তথাগত রায়। এক টুইটে তিনি লেখেন, “বাবুল সুপ্রিয়র বিদায়ে ব্যথিত। আমাদের মধ্যে একটা প্রজন্মের তফাৎ হলেও আমি ওকে বন্ধু হিসাবেই দেখতাম।আমি ওকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সফল হই নি।
রাজনীতিতে থাকতে হলে ধৈর্য একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আশা করি বাবুল যা করেছে ভেবেচিন্তেই করেছে।” অন্যদিকে বাবুলের ইস্তফা প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাবুলের অহংকার চরমে উঠেছিল। টলিগঞ্জে হারটা ওর জন্য দরকার ছিল। হেরে গিয়ে মন্ত্রিত্ব খুইয়ে এখন হতাশায় ভুগছেন নেই তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “৭ বছর মন্ত্রী থেকেছেন উনি। দু’বারেরর সাংসদ। অথচ ওনার কাছে যা প্রত্যাশা ছিল তা মানুষ পায়নি। বিজেপিও পাইনি। ওনার বয়স কম দলকে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে। তার আগেই উনি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাকে শুধু বলবো, রাজনীতিকে হার-জিত থাকেই সেটা মেনে নিতে হয়।”

 

Previous articleকারশেডে জল জমায় রবিবারও বাতিল একাধিক ট্রেন
Next articleঅলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন সতীশ কুমার