অভিষেককে আক্রমণ অনভিপ্রেত, বিজেপির সংস্কৃতি বিরুদ্ধে! মন্তব্য শমীকের

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ত্রিপুরা সফর। যা নিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত পড়শি রাজ্যে বেশকিছু দিন ধরে ঘাসফুল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল নজরকাড়া। কিন্তু অভিষেকের এই সফর ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড!

তাঁর কনভয়ে বাঁশ মারার ঘটনাকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করলেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এদিন ত্রিপুরায় অভিষেকের উপর হামলার ঘটনার পর ব-কলমে তাকে যেন সমর্থন করেছিল বাংলার গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির পক্ষে টুইট করে লেখা হয়েছিল, “বাংলায় বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এমন আচরণ রোজকার ব্যাপার। এখন দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের হিংস্র কর্মীদের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে।’’ পাশাপাশি আরও লেখা হয়েছিল, ‘’অপেক্ষা করুন। আগামী দিনে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষও এমন আচরণ করবেন।’’

এরপরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু উৎফুল্ল হয়ে বলেন, ‘‘কিছুই হয়নি। আমাদের উপরে এমন রোজই হয়। আর ওঁরা বাংলার বাইরে যেখানে যাবেন, সেখানেই এমন হবে। বাংলায় যে সন্ত্রাস চলছে, তাতে গোটা দেশের বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের উপরে ক্ষেপে রয়েছেন।’’ তবে দিনের শেষে শমীক ভট্টাচার্য-এর সুর একেবারেই আলাদা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি করে, সেই একই কাণ্ড ত্রিপুরায় ঘটায় কিছুটা হলেও চাপে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই শমীকের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট সুর বদল। তাই কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই উল্টো সুরে বিজেপি নেতা শমীকের গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘ত্রিপুরার এই ঘটনা অনভিপ্রেত। বিরোধীদের উপরে এই ধরনের আক্রমণ বিজেপির সংস্কৃতি হতে পারে না।’’

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে আগরতলা থেকে উদয়পুরে মাতাবাড়ি এলাকায় অভিষেক পৌঁছনো মাত্রই তাঁকে ঘিরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ‘’গো -ব্যাক’’ স্লোগান দেওয়া হয়। দেখানো হয় কালো পতাকা। অভিষেকের কনভয়ে আক্রমণ করা হয়। আক্রান্ত তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরাও। এরপরেই টুইটে অভিষেক লেখেন, ‘‘বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্র! বিপ্লববাবু এই রাজ্যকে নতুন পথে নিয়ে গিয়েছেন।’’

 

 

Previous articleফের বদল কোচবিহারের পুলিশ সুপার, আরও দুই রুটিন বদলি
Next articleউপনির্বাচন কি আসন্ন? মঙ্গলবার থেকেই ৫ কেন্দ্রে FLC শুরু করার নির্দেশ কমিশনের