জট খুলতে না পেরে সুকৌশলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়াতে চাইল ইস্টবেঙ্গল কর্তারা

ঠিক যেন গত বছরের ছবিই ফিরে এল ৷ আগের বার শেষমুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই প্রথমবার আইএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ এবারও ক্লাবে চরম ডামাডোল চলছে ৷ আইএসএলে খেলা কার্যত অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল লাল-হলুদের ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের বার্তায় নড়েচড়ে বসেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা ৷
শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তারপরেই পর্যালোচনা করে একসঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনই বার্তা এবার উঠে আসছে ইস্টবেঙ্গলের তরফে।সোমবার ‘খেলা হবে’ দিবসের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের।
সেই বক্তব্যের একটি অংশকেই নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে হাতিয়ার করছে লাল হলুদ শিবির। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, পাঁচ বছরের জন্য যে কেউ গ্যারান্টি নেবে, এটাও তো মুখের কথা নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস-বাণী পেয়েই মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয় ইস্টবেঙ্গলে। সেখানে পরিমার্জিত চুক্তিপত্রের বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে কর্তারা রাজি হলেও কিছু বিষয়ে এখনও দোটানা রয়েছে ক্লাবের। সমস্ত বিষয় আলোচনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন ক্লাব কর্তারা। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে চাইছেন লাল হলুদ কর্তারা।
আসলে জট খুলতে না পেরে খুব সুকৌশলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়াতে চাইলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারা। গতবার মুখ্যমন্ত্রী সময় দিয়েছিলেন বলে, উদ্যোগী হয়েছিলেন বলে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে পেরেছিল। কিন্তু এবারও ফের সমস্যা। লাল-হলুদ কর্তারা নিজেরা যদি সেই সমস্যার সমাধান না করতে পারেন জট খুলতে না পারেন , তবে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মিটিংয়ে বসবেন? এ প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। আসলে নিজেদের সমস্যাটাকে সমাধান করতে না পেরে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সুকৌশলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল সদিচ্ছা নিয়ে বলেছিলেন, ইস্টবেঙ্গল এবার আইএসএল খেলবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সদিচ্ছার অপব্যবহার করে সুকৌশলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়ালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ।
আসলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি অংশকেই নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে হাতিয়ার করছে লাল হলুদ শিবির। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, পাঁচ বছরের জন্য যে কেউ গ্যারান্টি নেবে, এটাও তো মুখের কথা নয়। এক-একটা ৫০ কোটি টাকা করে লাগে। সুতরাং তাদের অনেক করে বলেকয়ে রাজি করানো হয়েছে। আর লাল-হলুদ কর্তারা চাইছেন এই সুযোগে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করতে।
যদিও লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনও চুক্তিতেই সময়সীমা উল্লেখ থাকে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস-বাণী পেয়েই মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয় ইস্টবেঙ্গলে। সেখানে পরিমার্জিত চুক্তিপত্রের বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে কর্তারা রাজি হলেও কিছু বিষয়ে এখনও দোটানা রয়েছে ক্লাবের।

 

Previous articleউদার মার্কসের নামে এই সিপিএম আসলে পাগল তালিবান! অজন্তা ইস্যুতে বিস্ফোরক বসুন্ধরা
Next articleআগামিকাল ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে শপথ নেবেন জহর সরকার