আগামিকাল ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে শপথ নেবেন জহর সরকার

বিজেপি মনোনয়ন জমা দেয়নি ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার (Rajyasabha) উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী প্রাক্তন আইএএস (IAS) তথা প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও (CEO) জহর সরকার (Jahar Sarkar)। বুধবার, শপথ নেবেন তিনি। সূত্রের খবর, ধুতি-পাঞ্জাবি পরে একেবারে খাঁটি বাঙালি বেশেই সংসদে পা রাখবেন প্রাক্তন এই দুঁদে আমলা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) সঙ্গে জহর সরকারের ভাল সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আদ্যন্ত বাঙালি প্রাক্তন এই আমলার স্কুল জীবন কেটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সে। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। মাস্টার্স করেন সমাজবিদ্যাতেও। বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রিও পান সাসেক্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের মধ্যেই মেয়াদ শেষের চার মাস আগে প্রসারভারতীর সিইওর পদে ইস্তফা দেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যুতে রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন জহর।

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকেই প্রার্থী করে তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় চলে গেলেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় আনুষ্ঠানিক সাংসদ হিসেবে জহর সরকারের নাম ঘোষণা হয়। নবনির্বাচিত সাংসদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। জহর সরকার জানান, “কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ ত্রুটি এবার তাদের সামনে দাঁড়িয়ে তুলে ধরার সুযোগ পেলাম”।

আরও পড়ুন- উদার মার্কেসের নামে এই সিপিএম আসলে পাগল তালিবান! অজন্তা ইস্যুতে বিস্ফোরক বসুন্ধরা

 

Previous articleজট খুলতে না পেরে সুকৌশলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়াতে চাইল ইস্টবেঙ্গল কর্তারা
Next article‘তৃণমূল-বিজেপি এক নয়’; কমরেডদের নয়া পাঠ সিপিএমের